শক্তি পীঠ : বেহুলা

434

শক্তি পীঠ নিয়ে আমার আধ্যাত্মিক লেখালেখি বেশ কিছুদিন হলো চলছে আপনাদের সাথে নিয়ে, এর আগে এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় আমি আপনাদের ঘুরিয়ে এনেছি রাজ্যর সীমানা ছাড়িয়ে অন্য রাজ্য তথা অন্য দেশ থেকেও|তবে এই সোনার বাংলায় এখনো অনেক গুলি শক্তি পীঠ আছে যার কথা বলা হয়নি তবে অবশ্যই বলা দরকার তাই আবার ফিরে আসতে হলো বাংলায়, এবারের গন্তব্য বর্ধমান এর কেতুগ্রামের শক্তি পীঠ “বেহুলা”|আজ বলবো এই বিশেষ এবং কিছুটা প্রচারের আড়ালে থেকে যাওয়া পীঠটির কথা|

পীঠটি বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম এ অজয় নদীর তীরে একটি মনোরম স্থানে অবস্থিত,দেবী স্থানীয় মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং জাগ্রত, তিনি বেহুলা বা বহুলা নামে খ্যাত|দেবীর ভৈরব এখানে ভীরুক|পীঠ নির্ণয় তন্ত্র ও অন্যান্য শাস্ত্র মতে বেহুলায় দেবীর বাম বাহু পতিত হয়েছিলো|

প্রাচীন কালে বর্ধমানের এক রাজার নাম ছিলো চন্দ্রকেতু যার নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নামকরণ হয় কেতুগ্রাম|এই রাজা চন্দ্রকেতু স্বয়ং দেবী বেহুলার বর্তমান মন্দির টি নির্মাণ করান|
দেবী এখানে ত্রিনয়নী, বহুলারূপী, কিরীটধারী, চতুর্ভুজা দুর্গা। দেবীর বাঁ দিকে কোষ্ঠীপাথরের অষ্টভুজ গণেশ।মনে করা হয় রাজা চন্দ্রকেতু কার্তিক এবং গণেশ সহ দেবী
বাহুলার পাথরের মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন|

মানুষের বিশ্বাস অনুসারে অত্যান্ত জাগ্রতা দেবী বেহুলা,নিষ্ঠা সহকারে নিয়মিত তার পূজা ও প্রসাদ বিতরণ হয় এছাড়া বিশেষ তিথি গুলিতে বিশেষ পূজাঅর্চনার আয়োজন করা হয়|এখানে মহা সমারোহে শিব রাত্রি পালন হয় এবং গাজন উপলক্ষে মেলা বসে ও দুর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন সেই সময়|কেতুগ্রাম থেকে কিছু দূরে খন্ড গ্রামে ভৈরব ভীরুক স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত|

এখনো অসংখ্য শক্তি পীঠের কথা বলা বাকি রয়ে গেলো, সব বলবো আগামী পর্ব গুলিতে|অনেক অজানা কথা,গল্প ও পৌরাণিক ঘটনা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে যেমন টা করে আসছি এতদিন, তার সাথে থাকবো আমার পেশা ও জীবনের অঙ্গ জ্যোতিষ নিয়ে আপনাদের পাশে, অনলাইনে এবং চেম্বারে আর চোখ রাখুন আমার সি টি ভি এন এর অনুষ্ঠান ও ইউটিউব চ্যানেল এবং পড়তে থাকুন ফেসবুক পোস্ট গুলি|ধন্যবাদ|