কালী কথা – জোড়া কালীর পুজো
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
নদিয়ার ভীমপুরের ময়দানপুরের কালীবাড়িতে একই মন্দিরে পাশাপাশি পূজিতা হন রক্ষাকালী এবং দক্ষিণকালী।আজ কালী কথায় এই পুজোর ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহাসিক কালী পুজো নিয়ে আলোচনা করবো।
বহু বছর আগে এক কালীর পুজোর আগের রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন স্থানীয় এক মহিলা। দেবী তাঁকে স্বপ্নে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির কাছেই মনসা গাছ রয়েছে। সেই গাছের মাটির তলায় তাঁরা আছেন। তাঁদের মাটি থেকে তুলে পুজো করতে হবে।
প্রথমে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করেননি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর জোরাজুরিতে শুরু হয় মাটি খোঁড়া। বেশ কিছুটা মাটি খোঁড়ার পর উদ্ধার হয় জোড়া কালীমূর্তি। এরপর যেখান থেকে কালীমূর্তি দুটি উদ্ধার হয়, সেই মনসা গাছের পাশেই তৈরি করা হয় দেবীর বেদী।শুরু হয় পুজো। আজ সেই পুজোই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোটা নদীয়া
জেলা জুড়ে।
বিশেষ তিথি তে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। এখানে দেবীকে এখানে নিত্য পুজো করা হয়। এই মন্দিরে দুই কালী প্রতিমার পাশে দেবী লক্ষ্মীর মূর্তিও রয়েছে। দেবী লক্ষ্মীকেও এখানে নিত্য পুজো করা হয়।পাশাপাশি দুই কালী মূর্তি বিরাজ করছে শিবের ওপর।
বর্তমানে সেই মহিলার পরিবারের লোকজন বংশপরম্পরায় এই পুজো করে চলেছেন।পাশাপাশি অসংখ্য ভক্ত যুক্ত হয়েছে এই পুজোর সাথে।কালীপুজোর দিনগুলোয় এই মন্দির পরিসর যেন বিরাট এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিপুলসংখ্যক ভক্ত এখানে ভিড় করেন।
গোটা নদীয়া জেলায় এই জোড়া কালীর বিশেষ খ্যাতি আছে।
আজকের এই পর্ব এখানেই শেষ করছি।
ফিরে আসবো কালীর কথার পরবর্তী পর্ব নিয়ে আগামী দিনে।পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।