কালী কথা – গৌড়দহ কালী মন্দির
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে শ্রী শ্রী চন্ডীতে বলা আছে যে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই দৈত্যের অত্যাচারে ভীত দেবতাগণ নিজেদের রক্ষা করতে ও সৃষ্টিকে বাঁচাতে আদ্যাশক্তির আরাধনা শুরু করেন। তখন আদ্যাশক্তির দেহকোষ থেকে আবির্ভূতা হন দেবী অম্বিকা।
তিনি ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হওয়ায়
তাঁর অপর নাম কালী।
এই দেবী কালী আবার দশ মহাবিদ্যার অন্যতম মহা বিদ্যা।দেবীর কালীর পুজোর অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিথি দীপান্বিতা অমাবস্যা। সারা বাংলা জুড়ে প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক কালী মন্দিরগুলি এই সময় সেজে ওঠে নব রুপে। নব সাজে।এমনই এক জাগ্রত কালী মন্দির ক্যানিং এর কাছে গৌড়দহর কালী মন্দির।
এই কালী মন্দির দক্ষিণ বঙ্গের একটি অন্যতম জাগ্রত এবং প্রসিদ্ধ একটি কালী মন্দির।কালী মন্দিরের মায়ের বিগ্রহ অতী প্রাচীন এবং অতীব সুন্দর। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই মন্দিরের মা কালী কাউকে খালি হাতে ফেরাননা। তাই দুর দুর থেকে বহু মানুষ আসেন নিজ নিজ মনোস্কামনা নিয়ে এবং তাদের মনোস্কামনা পূর্ণ হলে মাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবার পুজো দিয়ে যান।
মন্দিরে রয়েছে একটি রহস্যময় পুকুর যে পুকুরের জলে অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন। এছাড়াও মন্দির চত্বরে আছে একটি বহু প্রাচীন বৃক্ষ যে বৃক্ষর তলায় দর্শণার্থীরা আশ্রয় নেন এবং প্রার্থনাও জানান অনেকে।
এই মন্দিরে রয়েছে কিছু বিধি নিষেধ যেমন নেশাজাত দ্রব্য এই স্থানে গ্রহন করা যায়না। এছাড়া পোশাক আশাক নিয়েও কিছু বিধি নিষেধ আছে। তবে সব নিয়ম ভক্তরা যথাযত পালন করেন।
প্রতি অমাবস্যা বিশেষ করে দীপান্বিতা অমাবস্যায় বহু তীর্থ যাত্রীর ভিড় হয়। বিশেষ পুজো এবং ভোগ বিতরণ হয়।
আবার ফিরে আসবো কালী কথার পরবর্তী পর্ব নিয়ে। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষে চলতে
থাকবে কালী কথা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।