দেবী লক্ষীর আবির্ভাব এবং বিবাহ

13

দেবী লক্ষীর আবির্ভাব এবং বিবাহ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

এবছরের মতো দূর্গা পুজো শেষ। আবার এক বছরের অপেক্ষা তবে মা দূর্গা কৈলাশ পাড়ি দিলেও রেখে গেছেন তার কন্যা লক্ষীকে। আর কয়েক দিন পরেই লক্ষী পুজো। লক্ষী পুজো উপলক্ষে আজ থেকে শুরু করছি দেবী লক্ষী কে নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা।আজকের পর্বে জানাবো কে দেবী লক্ষীর আবির্ভাবএবং

তার বিবাহ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

 

দুর্বাসা মুনির শাপে স্বর্গ একদা শ্রীহীন বা লক্ষ্মী-ছাড়া হয়ে যায়। তখন বিষ্ণুর পরামর্শে স্বর্গের ঐশ্বর্য ফিরে পাবার জন্য দেবগণ অসুরদের সাথে নিয়ে সমুদ্র-মন্থন শুরু করেন। সেই ক্ষীর-সমুদ্র মন্থনের ফলে উঠে আসল নানা রত্ন, মণি-মাণিক্য, অমৃতসুধা আরও কত কি। এসব ছাড়াও সমুদ্র-মন্থনের ফলে উঠে আসলেন লক্ষ্মী দেবী এবং ঠাই পেলেন বিষ্ণুর বক্ষে।

 

স্কন্দ পুরানে নারায়ণ লক্ষীর বিবাহের উল্লেখ আছে।লক্ষ্মী দেবী নারায়ণ বা বিষ্ণুকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করে বহুকাল কঠোর তপস্যা করেন।তখন ইন্দ্রা বিষ্ণুর ছদ্মবেশে লক্ষ্মীর নিকট উপস্থিত হলে লক্ষ্মী দেবী তাকে বিশ্বরূপ দেখাতে বলেন। কারণ লক্ষ্মী দেবী জানতেন যে, একমাত্র বিষ্ণুই বিশ্বরূপ দেখাতে সক্ষম। কিন্তু কেউই বিশ্বরূপ দেখাতে না পেরে লজ্জিত হয়ে চলে যান। তাঁরপর লক্ষ্মীর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে একদিন বিষ্ণু নিজে লক্ষ্মীর নিকট উপস্থিত হলেন এবং তাঁর ইচ্ছায় বিশ্বরূপ দেখালেন। তারপর তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

 

আবার লৌকিক মতে দেবী লক্ষী শিব দুর্গার সন্তান তাই দেবী দুর্গার সাথে মর্তে আসেন দূর্গা পুজোর সময়ে এবং বিজয়ার পর কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবীর পুজো হয়। দেবী লক্ষী প্রসন্ন হলে অর্থ সম্পদ এবং সমৃদ্ধি লাভ হয়।

 

ফিরে আসবো পরের পর্বে দেবী লক্ষীর পুজো সংক্রান্ত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাথে নিয়ে।

পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।