কালী কথা – অরন্যা কালীর পুজো
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দু হাড়োয়ার বুক চিরে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। তার কিছু দূরে রয়েছে প্রাচীন অরন্যা কালী মন্দির। আজকের কালী কথায় জানাবো এই মন্দিরের মাহাত্ম।
আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জলস্ফিতি হয়ে বন্যায় ভেসেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় সুন্দরবনের জঙ্গলে বিদ্যাধরী নদীর পাশে এক সাধু জঙ্গলের মঙ্গলের জন্য এই অরণ্য কালীর যজ্ঞ শুরু করেছিলেন।
দেবী কালীএ কৃপায় সে যাত্রায় রক্ষা পান এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। তারপর এলাকার মানুষের প্রচেষ্টায় একটু একটু করে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। বর্তমানে অরণ্য কালিবাড়ি বলে প্রসিদ্ধি লাভ করছে এই কালী ক্ষেত্র।
কথিত আছে, আড়াইশো বছর আগে বিদ্যাধরীর জলস্ফিতি হয়ে বন্যায় ভেসেছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় সুন্দরবনের জঙ্গলে বিদ্যাধরী নদীর পাশে এক সাধু জঙ্গলের মঙ্গলের জন্য এই অরণ্য কালীর যজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তারপর একটু একটু করে ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে একটি মন্দির। বর্তমানে অরণ্য কালিবাড়ি বলে পরিচিত।
মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়ার পর এই পুজোর দায়িত্ব গ্রামেরই ভট্টাচার্য্য পরিবারের হাতে হস্তান্তর করে গ্রামবাসীরা। তখন থেকেই ভট্টাচার্য্য পরিবার এই পূজার দেখাশোনা করে আসছে।স্থানীয় দের মতে এখানকার মা কালী খুবই জাগ্রত। তার কাছে মন থেকে যা চাওয়া হয় তাই পাওয়া যায়।
প্রতি বছর শ্যামা পুজোর দিন পশু বলী হয় পাশাপাশি ফলও বলি দেওয়া হয়। খিচুড়ি ভোগ তৈরি হয়। পুজো উপলক্ষে এই সময়ে কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে বহু দূর দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে।
এমন বহু প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক কালী মন্দির আছে এই বাংলার বুকে। পরবর্তী পর্বে অন্য
এক কালী মন্দিরের কথা নিয়ে ফিরে আসবো কালী কথায়। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।