একান্ন পীঠ – দাক্ষায়নী

57

একান্ন পীঠ এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সতীপীঠ হল মানস সতীপীঠ অথবা মানস শক্তিপীঠ। তিব্বতের মানস সরোবরের কাছে অবস্থিত এই শক্তি পীঠ।পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে এখানে সতীর ডান হাত পতিত হয়েছিল।

মানস সতী পীঠে অধিষ্ঠিত দেবী হলেন দাক্ষায়নী এবং হর হলেন ভৈরব।

 

মানস সতী পীঠের মাহাত্ম্যের সবচেয়ে বড় একটি কারন পার্শ্ববর্তী মানস সরোবর। এই হ্রদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক পৌরাণিক কাহিনী।অল্প দূরেই কৈলাশ পর্বত তিব্বতে অবস্থিত এই কৈলাস এবং মানস সরোবরকে কেন্দ্র করেই এই মানস শক্তি পীঠটি গড়ে উঠেছে।

 

পুরান মতে ব্রহ্মার মন থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এই সরোবর যে সরোবরে স্নান করলে রজ, তমো গুণ দূর হয় এবং সাত্ত্বিক গুন লাভ করা যায়।

 

হিমালয়ের বুকে প্রায় বাইশ হাজার ফুট উঁচু কৈলাস পর্বতের কাছে এই মানস সরবরের পবিত্র কুণ্ডকেই সতী পীঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 

দাক্ষায়নী দেবী সাক্ষাৎ এখানে বিরাজ করছেন বলে মনে করা হয়।অনেকে রাত্রে কৈলাস পর্বতের উপরে দুটি আলোকছটা দেখতে পান। যাকে দৈব আলোক জ্যোতিও বলা হয়। সেই আলোক ছটা পরস্পরের অনুগামী। মানুষের বিশ্বাস অনুসারে এই আলোক ছটাই আসলে শিব এবং পার্বতীর প্রতিরূপ বা দেবী দাক্ষায়নী এবং তার ভৈরব এই অঞ্চলে নিত্য লীলা করে চলেছেন।

 

কৈলাস পর্বতের অপার সৌন্দর্য আর মানস সরোবরের প্রশান্তি এই সতী পীঠের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলাই যায়। এখানে আলাদা করে কোনরকম মন্দির নির্মাণ করা হয়নি। নেই কোনো আলাদা মূর্তি। দেবী মহামায়া এখানে পরম প্রকৃতির রূপে ধরা দেন ভক্তদের কাছে।

 

প্রচলিত বিশ্বাস মতে স্বর্গের দেবতা, দেবী, গন্ধর্ব, অপ্সরা সকলেই আসেন এই শক্তি পীঠে পাশাপাশি

সারা বছরজুড়ে প্রায় সব সময় এই শক্তি পীঠে ভক্তদের আনাগোনা চলতেই থাকে।

 

ফিরে আসবো আগামী শক্তিপীঠ পর্ব নিয়ে

পরের পর্বে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।