আজও কতইনা না রহস্য লুকিয়ে আছে বাংলার অসংখ্য প্রাচীন কালী মন্দিরগুলিতে। সেই সব রহস্যর সন্ধানে শুরু করেছিলাম কালী কথা।
আজকের পর্বে মুর্শিদাবাদের কান্দির ব্যাঘ্ররুপী কালী বা ব্যাঘ্র কালী মন্দিরের কথা লিখবো।
নামটি শুনতে অবাক লাগতে পারে তবে প্রায় হাজার বছর ধরে মুর্শিদাবাদের কান্দির দোহালিয়া গ্রামে পুজো হয়ে আসছে ব্যাঘ্ররূপী দক্ষিণাকালীর।
এই মন্দির ও দেবীর রূপ নিয়ে রয়েছে অনেক গুলি জনশ্রুতি|কথিত আছে এক অন্ধ পরিব্রাজক সাধক এই কালী মন্দিরের গাছের তলায় তপ্যসা করছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দক্ষিণাকালী তাঁকে দেখা দেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণাকালীর আশীর্বাদে পরিব্রাজক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান এবং লোক মুখে ছড়িয়ে পরে এই কালী মন্দিরের নাম|
কালী পুজোকে কেন্দ্র করে একটি অদ্ভুত প্রথা রয়েছে এখানে,কালীপুজোর রাতে দোহালিয়া গ্রামে অন্য কোনও পুজো হয় না। গ্রামের এই একটি মন্দিরেই কেবল পুজো হয়|এখানে মা কালী বাঘ রূপে বিরাজিতা।
আগে এই গোটা এলাকা জঙ্গল ছিল। তার মধ্যেই ছিল মন্দিরটি। দ্বিতীয় একটি জনশ্রুতি অনুসারে শোনা যায় বল্লাল সেনের আমলে এখানে এক সন্ন্যাসী সাধনা করতেন। একবার ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার পর দক্ষিণাকালীর এই মূর্তি তিনি চোখের সামনের দেখতে পান। তারপর শুরু হয় মূর্তি স্থাপন করে পুজো।সেই থেকে এখানে পুজো চলে আসছে ব্যাঘ্ররুপী মা কালীর|
আজও তন্ত্র মতে পুজো হয়। বিশেষ অমাবস্যা তিথি গুলিতে হয় বিশেষ হোম যজ্ঞ এবং সেই উপলক্ষে বহু মানুষ আসেন।দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবী দক্ষিনা কালীর আশীর্বাদ পেতে এই বিশেষ মন্ত্রটি একশো আট বার উচ্চারণ করে দেবী প্রণাম করুন।
ওঁ কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণী
ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে।’
যারা দীপান্বিতা অমাবস্যায় গ্রহ দোষ খণ্ডন করাতে চান এখনই যোগাযোগ করতে পারেন।
ফিরে আসবো কালী কথায় পরের পর্বে অন্য কোনো রহস্যময় কালী মন্দির নিয়ে|
পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।