একান্ন পীঠ – নন্দীকেশ্বরী

41
বীরভূমের পাঁচটি সতীপীঠের অন্যতম সাঁইথিয়ার দেবী নন্দিকেশ্বরী।তন্ত্রচূড়ামণিতে নন্দিকেশ্বরীকে মূল পীঠ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।আজকের একান্ন পীঠ পর্বে এই শক্তি পীঠ নিয়ে লিখবো।
শোনা যায় দাতারাম ঘোষ নামে দক্ষিণেশ্বরের অধিবাসী অধিবাসী। ভাগ্য অন্বেষণে বীরভূমে আসেন এক ব্রিটিশ দের সাথে ব্যবসা করে বহু অর্থ রোজগার করেন পরে দেওয়ান হন এবং শেষে জমিদার হয়েছিলেন।শোনা যায়, দেবী নিজেই স্বপ্ন দিয়ে তাঁর অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন জনৈক দাতারাম ঘোষকে।তিনি মন্দির তৈরী করে পুজোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
বিশাল এক বটবৃক্ষ ছাতার মতো ঘিরে রেখেছে নন্দীকেশ্বর মন্দির অঙ্গনটি। এই বটবৃক্ষের নীচেই দেবী নন্দিকেশ্বরীর অবস্থান। ভৈরব এখানে নন্দিকেশ্বর। পুরান অনুসারে এখানে দেবী সতীর কণ্ঠহাড় পতিত হয়েছিলো।
বহু বছর আগে সাঁইথিয়া ছিলো নন্দীপুর। অর্থাৎ দেবী নন্দীকেশ্বরীর নামেই এলাকার নাম ছিলো।
যদিও এখন সাঁইথিয়া নামই ব্যবহার হয়।
শক্তি পীঠ হলেও রথ যাত্রা এখানে অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব। স্থানীয় ব্যবসায়ী দের উদ্যোগে মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয় রথযাত্রা উৎসব। পুরী থেকে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের দারুমূর্তি আনা হয়। সেই মূর্তি অভিষেক পর্বের মাধ্যমে নন্দিকেশ্বরী মন্দিরের প্রবেশপথের পাশেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৈরি করা হয় বিশালাকৃতি রথ এবং জগন্নাথদেবের মন্দির।অমাবস্যা তিথি গুলি ছাড়াও রথের সময় এখান ব্যাপক জন
সমাগম হয়।
নন্দীকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে মহাসরস্বতী, মহালক্ষ্মী, বিষ্ণুলক্ষ্মী, হনুমান মন্দির, জগন্নাথদেবের মন্দির, কালীয়দমন মন্দির আছে। এগুলির মধ্যে কালীয়দমন মন্দিরটি প্রাচীন।সব মিলিয়ে নন্দীকেশ্বরী শক্তি পীঠ বীরভূমের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
ফিরে আসবো আগামী পর্বে একান্ন পীঠের
পরবর্তী পর্ব নিয়ে। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।