নব রাত্রি উপলক্ষে দেবীর যে রূপ গুলির পুজো করা হয় তাদের মধ্যে যেমন বিনাশকারিণী কাল রাত্রি রূপ আছে তেমনই আছে স্নেহময়ী স্কন্দমাতা রূপ।নবরাত্রির পঞ্চম দিনে দেবী স্কন্দ মাতার পূজা করা হয়।আজকের পর্বে দেবী স্কন্দ মাতা নিয়ে আলোচনা হবে।দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর পুত্র কার্তিকের আরেক নাম স্কন্দ তাই মাতা পার্বতীর অপর নাম স্কন্দমাতা । দেবীর এই স্কন্দমাতা রূপে তিনি শিশু স্কন্দকে কোলে নিয়ে থাকেন । দেবী চতুর্ভুজা এক হাতে তিনি স্কন্দকে ধরে রেখেছে।অন্য দুটি হাতে তিনি দুটি পদ্ম ধারণ করেন এবং তার চতুর্থ হাতটি আশীর্বাদ দেয়ার জন্য ব্যাবহিত হয়|পুরাণ অনুযায়ী দেবী স্কন্দমাতা আগুনের দেবী।দেবীর গায়ের রং সাদা । তিনি একটি পদ্মের উপর উপবিষ্ট। তিনি তার ভক্তদের অমূল্য জ্ঞান দান করেন।সেদিক দিয়ে তিনি জ্ঞান দাত্রী।যারা নবরাত্রির পঞ্চম দিনে বাড়িতে স্কন্দমাতার পুজো করবেন তারপর প্রথমে গঙ্গাজল দিয়ে গৃহ শুদ্ধ করুন। একটি রৌপ্য, তামা বা মাটির পাত্রে নারকেল রেখে একটি কলস স্থাপন করুন। এরপর শ্রীগণেশ, বরুণ, নবগ্রহ ইত্যাদি দেব দেবীর উদ্দেশ্যে সাতটি সিঁদুরের বিন্দু স্থাপন করুন। তারপর বৈদিক মতে এবং ষোড়শপচার সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠিত দেবতার পূজা করুন।পুজোর সময় এই মন্ত্রটি এগারো বার জপ করবেন – ” যা দেবী সর্বভূতেষু মা স্কন্দমাতা রূপেন সংস্থা।নমস্তস্য নমস্তস্য নমস্তস্য নমো নমঃ”পুজোর দিনে নীল বর্নের পোশাক পরিধান করা শ্রেয় ভোগে কলা অবশ্যই নিবেদন করবেন।পূজোর পর শিশুদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করলে বিশেষ শুভ ফল লাভ করবেন।পুজোয় সন্তুষ্ট হলে মা স্কন্দমাতা তাঁর ভক্তদের প্রতি অগাধ ভালবাসা ও স্নেহ বর্ষণ করেন।চলতে থাকবে এই ধারাবাহিক আলোচনা।ফিরে আসবো আগামী পর্বে দেবীর পরবর্তী রূপ নিয়ে|পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।