আজ সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। পিছিয়ে নেই বাংলা।ইদানিং পশ্চিমবঙ্গে গণেশ আরাধনা নিয়ে উন্মাদনা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে এনিয়ে আপনারও হয়তো সহমত হবেন।ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে অনুষ্ঠিত এই গণেশ চতুর্থী শাস্ত্র মতে পালন করতে পারলেদুর্ভাগ্য, দারিদ্রতা এবং মানসিকত ও শারীরিক কষ্ট লাঘব হয় এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসে বলে শাস্ত্রে আছে।গণেশ চতুর্থীতে গণেশ পূজা করার আগে আসুন জেনে নিই কী ভাবে গণেশ পূজা করলে আপনার জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি।যাঁরা গণেশ চতুর্থীর আগেই বাড়িতে মূর্তি নিয়ে এসেছেন তাঁরা নির্দিষ্ট তিথি শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত নতুন কাপড়ে বিগ্রহের মুখ ঢেকে রাখলে ভালো করবেন । যাদের বাড়িতে গণেশ বিগ্রহ আছে এবং নিত্য পুজো হয় তাদের অবশ্য এই নিয়ম মানার প্রয়োজন নেই।গণেশ পূজোর আগে বিগ্রহের সম্মুখে চাল ছড়াতে ভুলবেন না। মূর্তি স্থাপনের আগেও চার পাশে ছড়িয়ে দিন চাল সাথে দিন সুপুরি, কাঁচা হলুদ, লাল কুমকুম ও কয়েকটি কড়ি।পুজোর মূল পর্বের প্রয়োজনীয় সামগ্রী হল লাল ফুল, দূর্বা ঘাস, মোদক, নারকেল, লাল চন্দন, ধুনো ও ধূপ।প্রথমে এই গণেশ প্রণাম মন্ত্র দিয়ে তার স্তুতি করতে পারেন।একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।অর্থাৎ,যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি। তারপর ধূপ ও প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু করুন আরতি।গণেশ আরতির সময়ে – ” ওম গণ গণপতায় নমঃ’ মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সহজেই গণেশকে সন্তুষ্ট করে তার কৃপা লাভ করতে পারেন।সাধারণত ষোড়শপচারে গণেশ আরাধনা হয় । গণেশ বন্দনার ১৬টি রীতির নামই ষোড়শপচার। এরপর ২১টি দূর্বা ঘাস, ২১টি মোদক ও লাল ফুল গণেশের সামনে সাজিয়ে রাখতে হবে । মূর্তির মাথায় আঁকুন লাল চন্দনের টিকা। এরপর গণেশ মূর্তির সামনে নারকেল ভেঙে অশুভ শক্তিকে দূর করুন। যদি সম্ভব হয় গণেশের ১০৮ নাম জপ করুন। মূর্তির সামনে করজোড়ে প্রার্থনা করুন পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধির জন্য।অন্তর দিয়ে গণপতিকে ডাকলে তিনি কাউকেই খালি হাতে ফেরান না।সবাইকে জানাই গণেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। বিঘ্নহর্তা গণেশর আশীর্বাদে আপনাদের সব অভাব অভিযোগ দূর হবে। ফিরে আসবো আগামী পর্বে বনেদি বাড়ির দূর্গাপূজোর ইতিহাস নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।