দেবী মাহাত্ম – বৈকুণ্ঠ পুরের বনদুর্গা

178

শাস্ত্র মতে অম্বুবাচির গুরুত্ব অপরিসীম কারন অম্বুবাচীর পর ধরিত্রী শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। অম্বুবাচির আরম্ভ কাল কে বলে অম্বুবাচী প্রবৃত্তিএবং সমাপ্তিকে বলে অম্বুবাচি নিবৃত্তি|অম্বুবাচীর সময় দেবী পূজা বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন রকমতন্ত্র ক্রিয়া ও মন্ত্র শক্তির সাহায্যে আদি শক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। কারন জগতের সব সৃষ্টির মুলে রয়েছে এই আদি শক্তি। আজ যে তীর্থ ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করবো তার সাথে অম্বুবাচির বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।আজকের পর্বে জলপাইগুড়ির বনদুর্গা।প্রাচীন এই দেবী মন্দির বর্তমানে তিস্তার পারে বৈকুণ্ঠ পুরে অবস্থিত যার সাথে জড়িয়ে আছে দস্যুরানী দেবী চৌধুরানীর নাম। শুধু তাই নয় একাধিক প্রাচীন গ্রন্থে এই তীর্থের উল্লেখ আছে। শোনা যায় প্রতিবছর আষাঢ় মাসে অম্বুবাচির পরের সপ্তাহে তিস্তা নদী দিয়ে বজরায় চেপে বৈকুণ্ঠ পুরে বন দূর্গার মন্দিরে আসতেন দেবী চৌধুরানী। তারপর পুজো দিয়ে নদী পথে ফিরে যেতেন নিজের গোপন ডেরায়। সঙ্গে থাকতো বিরাট বহর। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে যেতো।এই প্রাচীন মন্দির ও দেবীকে কেন্দ্র করে একটি পৌরাণিক ঘটনাও শোনা যায় কথিত আছে একবার কোনো কারণে কৈলাশ ছেড়ে শিব ছদ্মবেশে এই অঞ্চলে আত্ম গোপন করেছিলেন তখন দেবী পার্বতী মেছেনি রুপ ধারন করে এই স্থানে আসেন এবং শিবকে খুঁজে বের করেন।ঠিক কবে এবং কে এই মন্দির ও দেবী মূর্তি স্থাপন করেন তার সুনিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়না তবে কয়েকশো বছর ধরে এখানে পুজো হচ্ছেএবং স্থানীয় কৃষকেরা এই পুজো না দিয়ে আমন ধান চাষ করা শুরু করেন না।বিশেষ বিশেষ তিথিতে পুজো উপলক্ষে মেলা বসে।ফিরে আসবো নতুন পর্ব নিয়ে। ধারাবাহিক ভাবে দেবী মাহাত্ম ও মন্দির রহস্য নিয়ে আলোচনা। চলবে।সঙ্গে থাকবে অম্বুবাচি নিয়েঅনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।