ধর্মে শাক্ত ও বৈষ্ণব দুটি ভিন্ন দর্শন এবং দুটি ভিন্ন ধারা।কিন্তু হুগলির হরিপালের শ্রীপতিপুরে অধিকারী পরিবারের কাছে এই দুই প্রকার সাধনা অর্থাৎশ্রীকৃষ্ণ ও দেবী কালি দুয়ে মিলে এক হয়েগেছে আজকের পর্বে।হরিপালের বিখ্যাতবৈষ্ণব কালীর পুজো।এখানেদেবী কালির গলায় কন্ঠি মালা, বৈষ্ণবতিলক আঁকা পুজোতে কোনরকম বলি নয়,দেবী তৃপ্ত হন বাঁশির সুরে। আজ থেকে ৭০ বছর আগে বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীবটোকৃষ্ণ অধিকারীর তন্ত্রসাথনায় সিদ্ধ হয়েপ্রথম শুরু করেন এই পুজো। এখানে মা পরম বৈষ্ণবী।শাস্ত্রে একটি ঘটনার উল্লেখ আছে একবার শ্রীকৃষ্ণ ও রাধিকা যখন লীলা করছিলেন সেই খবর গিয়ে পৌছায় রাধিকার স্বামী আইহন ঘোষেরকাছে কিন্তুরাধিকার স্বামী আয়ন ঘোষ এসেদেখেন রাধিকা কালি পুজো করছেণ,প্রেমিকা কে অপমানের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ কালির রূপ ধরেন, যা কৃষ্ণকালী নামে পরিচিত সেই রুপই হুগলীর এই শতাব্দী প্রাচীন পুজোয় দেখা যায়।সাধক বটকৃষ্ণ অধিকারী এই গ্রামেরই এক দরিদ্র গোড়া বৈষ্ণব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেনবৈষ্ণব সূলোভ আচরণ ছোটথেকেই দেখা গিয়েছিলো অধিকারী মশাইয়ের মধ্যে বড়ো হয়ে সংসার ধর্ম করার পরেও তন্ত্রসাধনার দিকে আগ্রহছিল তার বেশিএকসময় তিনি শ্মশানে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন ও স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে এইখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন এই মাতৃ মন্দির। শুরু হয় পুজো।স্বপ্নেই তিনি দেখে ছিলেন যে তার দেবী মূর্তি সাধারণ কালো বা নীল নয় বর্ণ সবুজ এবং শ্যাম ও শ্যামা এক সাথে বিরাজমান। তাই এই অদ্ভুত রুপই প্রতিষ্ঠিত হয়।যদিও আজকের এখানেই শেষ করছি। তবে চলতে থাকবে কালী কথা। মন্দির রহস্য এবং দেবী মাহাত্ম নিয়ে আলোচনা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।