দেবী মাহাত্ম – পেট কাটি কালীর কথা

226

বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিনে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য রহস্য ময় কালী মন্দির তাদের নিয়ে গল্প এবং অলৌকিক জনশ্রুতির শেষ নেই। এমনই ওকে প্রাচীন কালী মন্দিরের দেখা মেলে জলপাইগুড়ির অন্তর্গত পুরনো জনপদ ময়নাগুড়িতে। গেলে দেখা মিলবে অদ্ভুতপেটকাটি কালী মায়ের।আজ এই বিখ্যাত এবং বাংলার অন্যতম রহস্যময় মন্দির নিয়ে লিখবো।সঠিক মূর্তির বয়স কত জানা নেই কারও। দেবীর অদ্ভুত ও ব্যাতিক্রমী ভয়াল রূপ দেখলে গায়ে কাঁটা দেয় ভক্তদের। বলা হয়, খোদাই করে বার করার সময়ে কোদালের ঘায়ে নাকি পেট কেটে গিয়েছিল এই মাতৃমূর্তির। তা থেকেই তাঁর নাম পেটকাটি।কষ্টিপাথরের কালো মূর্তিটি দেখলে শিহরণ জাগে আজও।মূর্তির উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৪ ফুট। দেবী এখানে দশভুজা। দেবী দাঁড়িয়ে আছেন ফুটন্ত পদ্মের উপরে।অদ্ভুত তার রূপ এবং রহস্যময়তার মন্দিরের পরিবেশ।খননের সময়ে পেটে আঘাত লাগার পাশাপাশি তিনটি হাতও ভেঙে গেছিলো তবে , অক্ষত আছে তাঁর বাকি হাতগুলি।দেবীর সেই হাতে ধরা অস্ত্রসম্ভার। বাঁদিকের চার হাতে ধরা রয়েছে হাতি, ঘণ্টা, ছিন্ন নরমুণ্ড, নরমূর্তি।একটি হাত ভাঙা।তাঁর পেটের মধ্যেই খোদাই করা রয়েছে অসংখ্য বিছের ছবি। দেবীর গলায় ঝুলছে নরমুণ্ডের এবং সর্পের মালা। সব মিলিয়ে দেবী বেশ ভয়ঙ্করী এবং স্বাভাবিক ভাবেই রহস্যময়ী।কালীপুজোর দিনে তাঁর আরাধনা করা হয়ধূমাবতী এবং চণ্ডী কালী রূপে। দেবীর এই রূপ অত্যন্ত জাগ্রত এবং উত্তরবঙ্গের পাশাপাশিআসাম নেপাল ও ভূটান থেকেও বহু মানুষ এখানে পুজো দিতে আসেন। সেই সময়ে মন্দিরকে ঘিরে বসে মেলা।কষ্টিপাথরের মূর্তিটিকে পুজো করা হয় তারপর পাশের মন্দিরে পূজিতা হন শ্যামা কালী প্রতিমা। দুটি মূর্তির পুজো হয় তন্ত্র মতে নিষ্ঠা সহকারে। আজও বলী প্রথা এখানে প্রচলিত।ফিরে আসবো পরের পর্বে। দেবী মাহাত্ম এবং প্রাচীন রহস্যময় মন্দির গুলি নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে আগের মতোই। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।