আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। আজ শুধু গৌতম বুদ্ধের জন্ম নয় আজকের এই বিশেষ তিথিতে সাধনায় সিদ্ধি লাভও করে ছিলেন গৌতম বুদ্ধ।আজও সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ বিশেষ ভাবে পালন করে এই দিনটা |বৌদ্ধ মঠ গুলিতে সন্ন্যাসীরা প্রদীপ জ্বালিয়ে সমবেত ভাবে বিশেষ প্রার্থনা করেন |এই বিশেষ তিথি বৈশাখী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত|নেপালের লুম্বিনী তে শুদ্ধধোন ও মায়াদেবীর সন্তান হিসেবে জন্মে ছিলেন সিদ্ধার্থ |যৌবনে রাজকুমারী যশোধরা দেবীর সাথে বিবাহ হয় সিদ্ধার্থর এক পুত্র ও হয়, নাম রাহুল |কিন্তু তিনি তো সংসার করতে আসেননি তিনি বুদ্ধ, তিনি আবির্ভুত হয়েছিলেন মানুষ কে সংসারের যাবতীয় দুক্ষ, কষ্ট ও মায়া থেকে মুক্তি দিয়ে মহানির্বানের পথ দেখাতে |একবার রাজকুমার সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে ভ্রমণে বেরোলে, প্রথমে দেখলেন একজন বৃদ্ধ মানুষ তারপর একজন অসুস্থ মানুষ শেষে একজন মৃত মানুষ ও এই সবের পর এক সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। এই দিন জীবনের এক চরম সত্য উপলব্ধি করলেন সিদ্ধার্থ, ভোগের রাস্তা ত্যাগ করে বেড়িয়ে পড়লেন ত্যাগের পথে, মুক্তির পথে এবং কঠোর সাধনার পর অবশেষে সিদ্ধি লাভ অর্থাৎ তার বুদ্ধ হয়ে ওঠা এবং বিশ্ববাসীকে মুক্তির পথ দেখানো যে পথে আজ হাটছে কোটি কোটি মানুষ |বৈষ্ণব মতে বুদ্ধকে আবার ভগবানের নবম অবতার মনে করা হয় বেদ অমান্য কারীদের ভিন্ন পথ প্রদর্শন করতে ও প্রানী হত্যা বন্ধ করতে তিনি আবির্ভূত হয়ে ছিলেন |যদিও এই মতবাদ নিয়ে কিছু ভিন্ন মতও আছে |বর্তমানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর অনেকেই বুদ্ধকে সনাতন ধর্ম থেকে আলাদা করে রাখার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে থাকেন।সে বিতর্ক আজ থাক|আসলে বুদ্ধ বলতে শুধু একজন ব্যাক্তিকে বোঝায় না। বুদ্ধ একটি আধ্যাত্মিক অবস্থা। সাধনার একটি বিশেষ স্তরে পৌঁছে সাধক বুদ্ধত্ব অর্জন করেন। গৌতম বুদ্ধ ছিলেন সেই সাধন মার্গের পথ প্রদর্শক।স্বামী বিবেকানন্দ গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে বলতে গেলে বার বার আবেগ প্রবন হয়ে যেতেন। তিনি বুদ্ধ সম্পর্কে বলতে গিয়ে একবার বলেছিলেন যেসব মানুষের মধ্যেই বুদ্ধ হয়ে ওঠার সম্ভবনা আছে।সবাইকে জানাই বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ফিরে আসবো আগামী পর্বে। ধারাবাহিক ভাবে দেবী মাহাত্ম এবং মন্দির রহস্যনিয়ে আলোচনা হবে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।