শুভ হনুমান জয়ন্তী

213

আজ হনুমানজির আবির্ভাব তিথি বা  ‘হনুমান জয়ন্তী’ তাই আজকের পর্বে আপনাদের জানাবো রূদ্র অবতার হনুমান সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য|হনুমানের পিতার নাম ছিল কেশরী, মায়ের নাম ছিল অঞ্জনা। হনুমানের পালক পিতা হলেন পবন দেবতা|রাক্ষস বাহিনীর অত্যাচার থেকে ধরিত্রীকে মুক্ত করতে, তথা ভগবান রামের সেবা ও রাম নাম প্রচারের জন্যই রুদ্র অবতার হনুমানের আবির্ভাব।পুরানের একটি ঘটনা অনুসারে একদা দশানন রাবণ কৈলাশে পাহারারত নন্দীকে ব্যাঙ্গ করলেন বানর বলে|ক্ষিপ্ত হয়ে নন্দী রাবণকে অভিশাপ দিলেন এক বানরের হাতেই রাবণ আর তার কূল ধ্বংস হবে|এই অভিশাপই পরবর্তীতে সত্য হয়েছিলো। রাবনের পতনের বড়ো ভূমিকা নিয়েছিলেন হনুমানজি।হনুমানজী দ্বাপর যুগেও ছিলেন। মহাভারতেও তার উল্লেখ রয়েছে মনে করা হয় কুরুক্ষে যুদ্ধে অর্জুন ও শ্রীকৃষ্ণের রথের ধ্বজা হিসেবে ছিলেন। তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছায়।কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করেছেন। হনুমানজীর অনুরোধে শ্রীকৃষ্ণ রামচন্দ্রের রূপ ধারণ করে হনুমানকে একবার দর্শন দিয়েছিলেন।শাস্ত্র মতে হনুমান চার যুগে অমর অর্থাৎ তিনি আজও স্বশরীরে এই পৃথিবীতে বিরাজমান।যেখানে যেখানে রঘুনাথের গুণগান করা হয় সেখানে সেখানেই তিনি অবস্থান করেন|আবার হনুমান চালিসা অনুসারে রোগ ভোগ, ভুত পিশাচ এবং যেকোনো সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় হুনুমানের স্মরণ নিলে, তাকে ভক্তি সহকারে ডাকলে|আজও রামকৃষ্ণ মিশনের বহু প্রচলিত একটি রীতি হলো যেখানেই সাধুরা রাম নাম করবেন , কীর্তন ভজন হবে সেখানেই একটি ফাঁকা আসন রাখা হবে, মনে করা হয় ওই ফাঁকা আসনে এসে বসেন স্বয়ং হনুমান তারপর নাম গান শেষ হলে আবার অদৃশ্য হন|বজরংবলী অষ্ট সিদ্ধির অধিকারী। অর্থাৎ আটটি দুর্লভ ক্ষমতা রয়েছে তার। আবার তার স্মরণাগত দের গ্রহ রাজ শনিদেব কোনো ক্ষতি করেন না কারন রাবনের কারাগার থেকে তিনি শনিদেবকে মুক্তি দিয়েছিলেন এবং শনিদেব খুশি হয়ে তাকে এই বর দিয়েছিলেন।রূদ্র অবতার হনুমানের চরনে প্রনাম জানিয়ে আজকের এই বিশেষ পর্ব শেষ করছি।আপনাদের সবাইকে জানাই হনুমান জয়ন্তীর অনেক শুভেচ্ছা|ফিরে আসবো পরের পর্বে দেবী মাহাত্ম নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।