যদিও মহাভারতের প্রধান চরিত্র গুলির মধ্যে আপাত দৃষ্টিতে প্রধান খলনায়ক রূপে দুর্যোধনকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেই দুর্যোধনের নামেই দেশে রয়েছে একটি অদ্ভুত মন্দির।আজকের পর্ব দেরাদুনের কাছে অবস্থিত দুর্যোধন মন্দির নিয়ে।প্রাচীন একটি লোক কথা অনুসারেপাণ্ডবরা যখন ১৪ বছর বনবাস কাটাচ্ছিলেন, তখন তাদের খোঁজে গাড়ওয়াল হিমালয়ের পাদদেশে এই স্থানে পৌঁছন দুর্যোধন। স্থানটির অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েপাণ্ডবদের কথা ভুলে কয়েকদিন এখানেই কাটিয়ে যান তিনি। শোনা যায় এখানকার আঞ্চলিক উপাস্য দেবতা ছিলেন মাহাসুর। দুর্যোধন তার আরাধনা করেন এবং মাহাসুর দেখা দিলেতার কাছে এই উপত্যকা চেয়ে পনেন দুর্যোধন। সেই থেকে অঞ্চলে রাজত্ব করার অধিকার পান দুর্যোধন।বহুকাল এই পার্বত্য অঞ্চল অত্যান্ত দুর্গম ছিলো যার ফলে এই মন্দির ছিলো লোক চক্ষুর আড়ালেপার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা পুজো করতেন দুর্যোধনের। আরও মনে করা হয় যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীমের হাতে দুর্যোধনের মৃত্যুর পর এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক দিন ধরে কেঁদেছিলেন। তাঁদের চোখের জলেই নাকি তামস নদীর উত্পত্তি হয়। যা আজও বয়ে চলেছে।স্থানীয় দের কাছে দুর্যোধন শুধু এই এলাকার উপাস্য দেবতা নন। তিনি এই কয়েকটি গ্রামের রক্ষাকর্তা।প্রতিবছর পৌষ মাসের পঞ্চম দিনে তার দুর্যোধনের মন্দির থেকে তার মূর্তিকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাইরে আনা হয় এবং ২০ দিন পরে ফের তাকে মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নানারকম স্থানীয় বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।এই কয়টি দিন তিনি সমগ্র এলাকার বেশ কয়েকটি বিশেষ স্থান পরিভ্রমণ করেন।দুর্যোধন মন্দিরের সামনে একটি অতি প্রাচীন লোহার কুঠার আজও রাখা আছে যেটিকে স্থানীয়রা দুর্যোধনের কুঠার হিসেবে মনে করেন দেরাদুন নামটি দুর্যোধনের নাম থেকে সৃষ্টি হয়েছে বলেও অনেকের বিশ্বাস।বহু মন্দিরের রহস্য এখনো জানানো বাকি আছে।বাকি আছে দেবী মাহাত্ম নিয়ে অনেক আলোচনা।ফিরে আসবো পরের পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।