দেবীমাহাত্ম – দিনহাটার বড়মা

248

নৈহাটীর বড়মা নিয়ে একটি পর্বে আলোচনা করেছিলাম। বাংলায় আরো একটি প্রসিদ্ধবড়মার মন্দির রয়েছে যেটি দিনহাটায় অবস্থিত।দিনহাটার শতাব্দী প্রাচীন দুর্গা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মা মহামায়াপাটের বড়মার পুজো। পুরাতন রীতি মেনে প্রতিবছর রথযাত্রার পূর্ণ তিথিতে কাঠাম পুজোর মাধ্যমে বড়মার মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়।বড়মার পুজোর একটা ইতিহাস আছে। সিপাহী বিদ্রোহের কিছু পরে ১৮৮৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ রায়ের আমলে ডুয়ার্সের জয়ন্তী থেকে বাংলাদেশের লালমনিরহাট পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ চলাকালীন দেবীর অবয়ব আঁকা একটি প্রস্তরখন্ড কর্মরত শ্রমিকদের নজরে পড়ে।অদ্ভুত ভাবে দীর্ঘ সময় তা তোলার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তৎকালীন নৃপেন্দ্র নারায়ন স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই জায়গায় প্রস্তখন্ডটিকে দেবী মহামায়ারূপে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করেন শুরু হয় পুজো।পরবর্তীতে ১৮৯০ সালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেবী দশভূজা রূপে সেই মূর্তির পুজোর স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকেই মা মহামায়াপাটের পাশে অস্থায়ী মন্দির গড়ে শুরু হয় দেবীর পুজো।দেবী আজও একই নিয়মে পূজিতা হয়ে আসছেন।স্থানীয় মানুষরা দুর্গাপুজোর সময়ে মেতে ওঠেন বড়মার পুজোয়। দেখতে আসেন বহু মানুষ। শোনা যায় দেবী সবার মনোস্কামনা পূর্ণ করেন এবংখালি হাটে কাউকে ফেরান না।দেবী মাহাত্ম নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে। যথা সময়ে ফিরে আসবো পরের পর্বে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।