মন্দির রহস্য – মন্দির নগরী করিধ্যা

224

আজকের মন্দির রহস্য পর্বে কোনো একটি নিদ্দিষ্ট মন্দির নিয়ে নয়। আজ লিখবো একটি গোটা জনপদ নিয়ে যাকে মন্দির নগরী বলা হয়। বাংলার বীরভূম জেলার সিউড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত এই রহস্যময় মন্দির নগরী যার নাম কড়িধ্যা।করিধ্যা মূলত একটি গ্রাম যাকে মন্দির নগরী বলার কারন এতো অল্প পরিসরে এতো বেশি পরিমান মন্দিরের উপস্থিতি।এখানে এক পা যেতে না যেতেই চোখে পরে মন্দির।গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই লাগোয়া শিব মন্দির। সব মিলিয়ে মন্দিরের সংখ্যা দেড়শোর বেশি।অদ্ভুত ভাবে সবই মন্দিরের নক্সা একই ।শোনাযায় বর্গির আক্রমন আটকাতে বীরভূমের এই অঞ্চলে গড়ে ওঠে এতো মন্দির।বাংলায় লুঠ পাট করতে যাওয়ার সময় কড়িধ্যা গ্রাম পেরোতে হত বর্গীদের। বাড়ি ঘর লুটপাট ভাঙচুর চালাতো তারা অত্যাচার চলতোসাধারণ মানুষের উপর । শক্তি দিয়ে তাদের আটকানো কঠিন তাই শেষে নিজেদের বাড়ির সামনে একটি করে শিব মন্দির তৈরি করে নিলেন তারা। কারন বর্গীরা নাকি শৈব। শিব যেখানে সেখানে নাকি আক্রমন করে না বর্গীরা।পরবর্তীতে বর্গীরা বিদায় নেয় থেকে যায় মন্দিরগুলি।যেখানে নিষ্ঠা সহ আজও নিত্য পুজো হয়।জনশ্রুতি অনুসারে সেকালে মন্দিরেরগর্ভগৃহ গুলি ধন সম্পদ লুকিয়ে রাখার গোপন নিরাপদ কুঠরি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।তাই বহু মন্দির থেকেই নানা সময়ে উদ্ধার হয় গুপ্তধন।কালের নিয়মে আজ বহু মন্দির জরাজীর্ণ তবুও নীরবে এক রোমাঞ্চকর ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে চলছে মন্দির নগরী করিধ্যা।ফিরে আসবো এমন কোনো মন্দিরের অজানা ইতিহাস নিয়ে। আলোচনা হবে মন্দির রহস্য নিয়ে।পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।