বাংলার দুর্গাপুর যেমন শিল্পাঞ্চল হিসাবে বিখ্যাত তেমনই বহু ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে দুর্গাপুরের শ্রী শ্রী ভিরিঙ্গি মায়ের শ্মশান কালি মন্দির বেশ পরিচিত স্থান।সিপাহী বিদ্রোহের পাঁচ বছর আগে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।এই মন্দির প্রাঙ্গনে মায়ের এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়। বজরংবলী হনুমান এর কাঁধে নন্দী ভৃঙ্গি সহ মহাকালী মূর্তি এখানে বিরাজ করছে।মন্দিরের পশ্চাৎ দেশে সিদ্ধাসন নামক এক পবিত্র স্থান আছে যেখানে পঞ্চমুখী শিবলিঙ্গ বিরাজমান। একটি বাঁধানো ঘাট ও আছে।মায়ের মন্দিরের সামনে রয়েছে হাড়িখাট যেখানে বিশেষ সময়ে বলি হয়। তাছাড়াও এখানে আছে নাগেশ্বর, মহাকালভৈরবী, সিদ্ধিদাতা ও হনুমানজীর মন্দির আছে এখানে।ভিরিঙ্গি মন্দির যেখানে আছে বহুকাল আগে সেখান থেকে তিনটে বিষ্ণুমূর্তি ও মহাদেবের দুই সঙ্গী নন্দী ও ভৃঙ্গির মূর্তি উদ্ধার হয়েছিল বলে শোনা যায়।প্রথা মেনে মা কালীকে ভোগ নিবেদন করার আগে চন্ডভৈরব দের খাওয়ার নিবেদন করা হয়। বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনাও শোনা যাও এই তীর্থস্থান কে কেন্দ্র করে।শোনা যায় মন্দিরের প্রতিষ্ঠতা অক্ষয় কুমার রায় যখন তার গুরুদেবের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তখন তার গুরুদেব শেষ কৃত্যের সময়ে তাঁর চিতা ভস্মর মধ্যে রুপোর মোহর দেখতে পাওয়া যায়।মন্দিরের নীচে শায়িত আছেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠতা অক্ষয় কুমার রায় ও তার পুত্র রবীন্দ্রনাথ রায় যাদের আন্তরিকে চেষ্টায় তৈরি হয়েছিল মন্দিরের বর্তমান রূপ।বর্ধমানে জেলায় খুব কম মানুষই আছেন যারা ভিরিঙ্গি কালি মায়ের কথা শোনেননি। সারা বছর বিভিন্ন জেলার মানুষের মনোস্কামনা পূরণের জন্য এখানে আসেন।বিশেষ তিথি গুলিতে জন সমাগম হয় যথেষ্ট।ফিরে আসবো দেবী মাহাত্ম নিয়ে। আগামী পর্বে। ধারাবাহিক ভাবে চলবে আলোচনা। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।