দেবী মাহাত্মা – দশ মাথার কালী মূর্তি

305

বাংলা হলো শক্তি সাধনার আদি ভূমি। তাই বাংলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য কালী মন্দির। দেবী বিভিন্ন রূপে বিরাজ করছেন বিভিন্ন স্থানে। আজ আপনাদের যে দেবীর কথা বলবো তিনি দশ মাথা বিশিষ্ট কালী।দেবী খুবই জাগ্রত বলে মানুষের বিশ্বাস।দেবীর এই রূপে পূজিতা হন মালদার ইংরেজ বাজার এলাকায়।শাস্ত্রে দেবীর এই রূপ মহাকালী নামে পরিচিত।মালদার এই পুজোর ইতিহাস বেশ রোমাঞ্চকর এবং কিছু রীতি নীতি বেশ অদ্ভুত। আজও প্রথা মেনে দিনের আলোয় পূজিতা হন দশ মাথা কালী। বলি প্রথা আজও আছে এবং শোল মাছের টক বিশেষ প্রসাদ হিসেবে চলে আসছে বহু দিন থেকে তখন ১৯৩০ সাল, দেশে তখন শাসন করছে ইংরেজরা। মালদহে চরম অত্যাচার চালিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষজন বিদ্রোহ করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন নিজেদের মধ্যে শক্তি আর সাহস বৃদ্ধি করতে শুরু হয় এই কালীপুজো।দেবীর ১০ মাথা, ১০ হাত এবং ১০ পা রয়েছে। প্রতিমায় শিবের কোন অস্তিত্ব নেই। দেবীর পায়ের তলায় রয়েছে অসুরের কাটা মুণ্ডু।কিছু ধর্ম শাস্ত্রে এই রূপের উল্লেখ থাকলেও দেবীর এই রূপের পুজোর প্রচলন খুব একটা হয়নি।শোনা যায় বিহারের বিন্দুবাসিনীতে পাহাড়ের গায়ে প্রাচীন যুগে খোদাই করা রয়েছে এই মূর্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে যেখানে মহাকালীর মন্দির রয়েছে, সেখানে তন্ত্র সাধনা করতেন এলাকার এক তন্ত্র সাধক।সাধনার জন্য তৈরি করেন পঞ্চমুণ্ডির আসন। সেই আসনের ওপরে দেবীর বেদি নির্মিত হয়েছে। আজও তন্ত্র মতেই দেবীর পুজো হয়।প্রতিবছর কালী পুজোয় প্রথা মেনে এখানে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির পর্যন্ত মাকে নিয়ে যাওয়া হয়। দেবীর পুজো দেখতে আসেন দূর দূরান্তর মানুষ।আবার ফিরে আসবো পরের পর্বে।দেবী মাহাত্ম নিয়ে পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।