আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারী শিবচতুর্দশী শাস্ত্র মতে এই পূণ্য তিথিতে মহাদেবের সাথে মাতা পার্বতীর বিবাহ সম্পন্ন হয়। সতীর মৃত্যুর পর মহাদেব অনন্ত ধ্যানে মগ্ন হন তখন আদ্যাশক্তি মাতা পার্বতীর রূপ ধরে মহাদেবকে স্বামী রূপে পাওয়ার জন্য কঠোর ধ্যান করেন ও অবশেষে মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ হয় এবং এই তিথিতে তাদের মহা মিলন ঘটে আজ আপনাদের এই তিথির মহাত্ম বলবো আরো বলবো রাজা সুদর্শনের কথা|এই তিথিতে মহাদেব তার রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন ও তাণ্ডব নৃত্যের মাধ্যমে সৃষ্টির ধ্বংসের পরিস্থিতি নিয়ে আসেন। তাই তাকে শান্ত করার জন্য তার আরাধনা করা হয়।বিবাহিত নারীরা মনে করেন এই ব্রত করলে তাদের স্বামীর মঙ্গল হবে ও অবিবাহিত নারীরা এই ব্রত পালন করলে মহাদেবের মতন স্বামী লাভ করবেন|অমাবস্যা যুক্ত শিব চতুর্দশী রুদ্রাক্ষ ধারণ ও গ্রহ দোষ খণ্ডন বা তন্ত্র সাধনার জন্য ও আদর্শ|পুরা কালে সুদর্শন নামের এক রাজা ছিলেন।একবার তিনি তার পোষ্য কুকুরের সাথে গভীর বনে শিকারের জন্য বেরিয়েছিলেন। সারাদিন ধরে কোনো শিকার করার মতন প্রাণী খুঁজে না পেয়ে তিনি ক্ষুধার্থ ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় তিনি রাতে একটি জলাধারের পারে এসে উপস্থিত হলেন। সেখানে তিনি একটা বেল গাছের তলায় একটা শিবলিঙ্গ খুঁজে পেলেন ও সারারাত জেগে সেই শিবলিঙ্গের আশপাশের পাতা এবং ধুলো পরিষ্কার করে সেই জল দিয়ে শিবলিঙ্গটিকে পরিষ্কার করলেন। এরপর পরের দিন সকালে নিজের গৃহে ফিরে তিনি তার ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিবারণ করলেন। সেই রাতটি ছিল শিবরাত্রির পুণ্য তিথি। সেইদিন সেই রাত্রি জাগরণের ফলে তার মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়।তার মৃত্যুর পর তাকে যমলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যমদূত উপস্থিত হন। তারা তাকে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় তখন মহাদেবের দূত তাদের সাথে লড়াই করে তাকে সেই বাঁধন থেকে মুক্ত করে ও স্বর্গলোকে মহাদেবের আশীর্বাদ ধন্য হয়ে তিনি প্রবেশ করেন|এসবই সম্ভব হয়েছিল সেই শিব রাত্রি পালনের পুন্য ফলে|আপনারাও চাইলে শিব চতুর্দশী তিথিকে কাজে লাগাতে পারেন শাস্ত্র মতে গ্রহের প্রতিকার বা মনোস্কামনা পূরণের জন্য|ফিরে আসবো পরের পর্বে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|