তত্তা পানি শিব মন্দিরের রহস্য

172

ভারতের হিমাচল প্রদেশের সুন্দর পার্বত্য উপত্যকায় অনন্য এবং বিস্ময়কর এক শিবমন্দির রয়েছে যা আপনাকে অবাক করে তুলতো পারে।আজ মন্দির রহস্য পর্বে সেই শিব মন্দিরের কথাই আপনাদের জন্য লিখবো |পার্বতী নদীর তীরে রয়েছে এই অলৌকিক ও সুন্দর শিব মন্দির। যে মন্দিরের ভিতরে রয়েছে উষ্ণ প্রসবন।পার্বত্য অঞ্চলে উষ্ণ জল মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। ঐতিহাসিক এই শিবমন্দিরের পাশেই রয়েছে গুরু নানকের পবিত্র গুরুদ্বার। দুটি ভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অদ্ভুত সহাবস্থান ও মনোরম প্রাকৃতিক রূপ তার সাথে আধ্যাত্মিক অনুভূতি এই সব মিলিয়ে মুগ্ধ হন দেশ বিদেশ থেকে আসা পর্যটক ও ভক্তরা।একদিকে এই নদীর তাপমাত্রা বরফের মতো ঠান্ডা অন্যদিকে সূর্যের তেজ তার মাঝে ভুগর্ভ থেকে উঠে আসা জলের উষ্ণতা সব মিলিয়ে বেশ রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি হয় এখানে । ভক্তরাও এই গরম জলে স্নান করেন। বলা হয়ে থাকে যে, এই জল থেকে যদি চা তৈরি করা হয়, তবে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক চিনি যোগ করলেও চা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত মিষ্টি হয়। পর্যটকদের জন্য গরম জলেতে সিদ্ধ করে চালও বিক্রি করা হয় এবং অনেকে আবার স্নানের জন্য জল নেন।দেশ বিদেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। এখানকার উষ্ণ গন্ধকযুক্ত জলে স্নান করলে অনেক রোগের নিরাময় হয় বলেও বিশ্বাস তারমধ্যে বাত ও যেকোনো হাড়ের অসুখও সেরে যায় বলে দর্শণার্থীরা মনে করেন|পার্বতী উপত্যকার পার্বতী নদীর তীরে হিমাচল প্রদেশের এই কুল্লু শহরে অবস্থিত মণিকর্ণ নামক এই স্থান হিন্দু এবং শিখদের জন্য একটি বিখ্যাত তীর্থস্থান। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মহাদিদেবাএবং দেবী পার্বতী এই স্থানে ১১ হাজার বছর ধরে একসঙ্গে তপস্যা করেছেন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, পার্বতীর কর্ণ বলিদানের কারণে এই স্থানটির নামকরণ হয়েছে মনি কর্ণ আবার স্থানটিকে উষ্ণ প্রশ্রবনের জন্য তত্তাপানিও বলা হয়। তত্তপানি মানে গরম জল, এর অর্থ এখানে গরম জলের উৎস আছে|বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অনুভূতির কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। আস্থা ও ভক্তিই শেষ কথা|যথা সময়ে ফিরে আসবো পরের পর্বে অন্য কোনো মন্দির রহস্য নিয়ে|থাকবে আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা ও রহস্যময় মন্দিরের কথা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|