বিষ্ণুর ১০ অবতার যুগে যুগে পাপীদের বিনাশ ঘটিয়ে সাধুদের পরিত্রাণ দিতে এই ধরায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তাদের কীর্তি আগেই আপনাদের বলেছি আবার এই অবতারদের মধ্যেও দু’রকম শ্রেণী রয়েছে। বিষ্ণুর অংশাবতার এবং বিষ্ণুর পূর্ণাবতার।গীতাতে একাধিক স্লোকে কৃষ্ণ নিজেকে ভগবান বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, তিনিই শুরু আবার তিনিই শেষ। তাঁর ইচ্ছেতেই জগতের সবকিছু। সবাই তাঁর-ই অংশ। আর কোনও অবতারকে এমন কথা বলতে শোনা যায় নিতাই বাকি ৯ অবতারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায়, তারা অবতার কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ অবতার নন। তিনি স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবান।যে সকল অবতারেরা বিষ্ণুর দেহের অংশ থেকে থেকে সৃষ্ট তাঁরা অংশাবতার। আর যে সকল ক্ষেত্রে বিষ্ণু স্বয়ং জন্ম নিয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাঁর সেই জন্মগুলিকে বলা হয় পূর্ণাবতার।সেনিয়ে আগামী দিনে বলবো|আজ বলবো শ্রী কৃষ্ণ অবতার নন কেনো|শ্রীকৃষ্ণ সবথেকে আলাদা। বলা হয়, অবতার নয়। শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান।কেন শ্রীকৃষ্ণ সকলের থেকে আলাদা কেনো তা তাঁর কার্যকলাপেই প্রমাণিত হয়, তিনি বাকি অবতারের থেকে আলাদা কারন বাকি অবতারদের কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই তাঁরা অবতীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের কোনও নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য ছিল না। বরং একাধিক লক্ষ্য ছিল। বা এভাবেও বলা যায়, তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল ধর্ম সংস্থাপন। তার জন্য তিনি যা যা করতে হয়, করেছেন।কংস বধ, শিশুপাল বধ, দ্রৌপদীর লজ্জা নিবারণ এবং সর্বোপরি অস্ত্র না ধরেও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরিচালনা। এমন কাজ তো কেবলমাত্র স্বয়ং পরমেশ্বর ভগবানই করে থাকেন। আর শ্রীকৃষ্ণ নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি স্বয়ং ভগবান। শুধু অর্জুনকে নয়, একাধিকবার কৃষ্ণ একাধিক জনকে নিজের বিশ্বরূপ দর্শন করিয়েছেন।বিষ্ণুর বাকি অবতারের ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা কখনও দেখা যায়নি। তাঁরা কখনওই নিজেদের ভগবান বা অবতার বলে স্বীকার করেননি। এমনকি রাম তো প্রথমে জানতেনই না যে তিনি অবতার। অনেক পরে জানতে পেরেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু মোটেই তেমন নন। সেই বাল্যকাল থেকেই পূতনা বধ, কালীয়নাগ দমন, গোবর্ধন পর্বত ধারণ ইত্যাদি একাধিক লীলার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ভগবান। আর শেষে অর্জুনকে ভগবত গীতা শোনালেন।শ্রী কৃষ্ণ কে জানতে হলে গীতা জানতে হবে পাশাপাশি পারতে হবে মহাভারতে|তাছাড়া ভাগবত পুরান পাঠ করতে হবে|ফিরে আসবো আগামী পর্বে|চলবে পৌরাণিক ও আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে আলোচনা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|