ভগবান যখন নশ্বর দেহে অবর্ভুত হন তখন তাকে বলা হয় অবতার|যুগে যুগে তিনি অবতীর্ণ হন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে|যখন পরিপূর্ণ ভাবে বিষ্ণু আবির্ভুত হন তাকে বলে পূর্ণবতার আর আংশিক ভাবে আবির্ভুত হলে অংশাবতার বলা হয়|বিভিন্ন শাস্ত্রে অবতারের সংখ্যা বিভিন্ন রকম তবে|গরুর পুরান অনুসারে পূর্ণাবতার দশটি যারা মধ্যে আটটি নিয়ে আগে আলোচনা করেছি|আজ নবম অবতার অর্থাৎ বুদ্ধ অবতার নিয়ে আলোচনা করবো|বৈষ্ণব মতে বুদ্ধ ভগবানের নবম অবতার এবং মনে করা হয় বেদ অমান্য কারীদের ভিন্ন পথ প্রদর্শন করতে ও প্রানী হত্যা বন্ধ করতে তিনি আবির্ভূত হয়ে ছিলেন|তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো জাতি ও বর্ন ভেদ থেকে সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা এবং অহিংসার বানী প্রচার করা|নেপালের লুম্বিনী তে শুদ্ধধোন ও মায়াদেবীর সন্তান হিসেবে জন্মে ছিলেন সিদ্ধার্থ |যৌবনে রাজকুমারী যশোধরা দেবীর সাথে বিবাহ হয় সিদ্ধার্থর এক পুত্র ও হয়, নাম রাহুল |কিন্তু তিনি তো সংসার করতে আসেননি তিনি বুদ্ধ, তিনি আবির্ভুত হয়েছিলেন মানুষ কে সংসারের যাবতীয় দুক্ষ, কষ্ট ও মায়া থেকে মুক্তি দিয়ে মহানির্বানের পথ দেখাতে |বুদ্ধর বুদ্ধ হয়ে ওঠার ঘটনাটি ও বেশ রোমাঞ্চকর| যুবক রাজকুমার সিদ্ধার্থ প্রাসাদ থেকে ভ্রমণে বেরোলে, প্রথমে দেখলেন একজন বৃদ্ধ মানুষ তারপর একজন অসুস্থ মানুষ শেষে একজন মৃত মানুষ ও এই সবের পর এক সন্ন্যাসীকে দেখতে পান। এই দিন জীবনের এক চরম সত্য উপলব্ধি করলেন সিদ্ধার্থ, ভোগের রাস্তা ত্যাগ করে বেড়িয়ে পড়লেন ত্যাগের পথে, মুক্তির পথে এবং কঠোর সাধনার পর অবশেষে সিদ্ধি লাভ অর্থাৎ তার বুদ্ধ হয়ে ওঠা এবং বিশ্ববাসীকে মুক্তির পথ দেখানো যে পথে আজ হাটছে কোটি কোটি মানুষ |যদিও বুদ্ধ অবতার নিয়ে কিছু ভিন্ন মতও আছে|সনাতন ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম একাধিক বার সংঘাতে জড়িয়েছে বুদ্ধের অবতার তত্ত্ব নিয়ে|আবার বিতর্ক ও হয়েছে বুদ্ধের জীবন দর্শন নিয়ে|তবে শাস্ত্র কে যদি প্রামান্য হিসেবে দেখা হয় তাহলে গৌতম বুদ্ধ নিঃসন্দেহে বিষ্ণুর দশ অবতারের মধ্যে স্বার্থক ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবতার রূপে স্বীকৃত|পরবর্তী অবতারের কথা নিয়ে ফিরে আসবো যথাসময়ে |চলতে থাকবে আধ্যাত্মিক ও পৌরাণিক বিষয় নিয়ে আলোচনা|যারা জ্যোতিষ সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ বা প্রতিকার চান তারা সরাসরি উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে কথা বলতে পারেন|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|