দুর্গা ঠাকুরের বিসর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলার আকাশে-বাতাসে নেমে আসে বিষাদের সুর। তার কিছুদিন পরে লক্ষ্মী পুজোতে কিছুটা হলেও মন খারাপ কেটে যায|তারপর আসে কালীপূজা|কালী পূজা শেষ হলে মানুষের মন থেকে বিষাদ যেন কাটতেই চায় না।তবে এক মার পূজো শেষ হতে না হতেই অন্যরূপে মাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য পৃথিবীবাসী অপেক্ষা করে থাকে এবং মা এবার আসবেন জগদ্ধাত্রী রূপে|জগদ্ধাত্রী পূজার ইতিহাস বেশ প্রাচীন এবং পৌরানিক দৃষ্টি কোন থেকে বেশ তাৎপর্য পূর্ন তবে আজ ইতিহাস নিয়ে বলবো|নদীয়া জেলার সদর কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। কিংবদন্তী অনুসারে নবাব আলীবর্দী রাজত্বকালে কৃষ্ণচন্দ্র রাজার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন।টাকা না দেয়ায় নবাব রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে মুর্শিদাবাদ এ নিয়ে যান এবং কিছুদিন বন্দী করে রাখেন|তারপর মুক্তির পর নদীপথে যখন কৃষ্ণনগরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নিজের রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করেন সেই সময় ঘাটে বিজয়া দশমীর বিসর্জনের বাজনা শুনে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি দুর্গাপূজার সময় অতিক্রম করে এসেছেন। এবছর তিনি দুর্গাপুজো দেখতে পেলেন না, দূর্গা পূজার আয়োজন করতে না পেরে অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছিলেন।সেই রাতে দেবী দুর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে রাজাকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং পরবর্তী শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী দুর্গার পূজা করার আদেশ দেন ।সেই মত কৃষ্ণনগরে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন।বলা যায় জগদ্ধাত্রী, দুর্গার আরেক রূপ।সৃষ্টি কর্তা ব্রহ্মা করিন্দ্রাসুরকে বধ করার জন্য দেবী জগদ্ধাত্রীকে আহ্বান করে ছিলেন|সেই পৌরাণিক গল্প আপনাদের বলবো আগামী কোনো পর্বে|আজ আপাতত এখানেই শেষ করছি|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|