অম্বুবাচীর কি এবং কেনো

936

আর কয়েকদিন পরেই অম্বুবাচি সেই উপলক্ষে বেশ কয়েকটি পর্বে অম্বুবাচির ব্যাখ্যা ও তারপর গুরুত্ব আপনাদের সামনে তুলে ধরবো|আজ প্রথম পর্ব|হিন্দুধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী।বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় এই অম্বুবাচী, ‘অমাবতী’ বলেও পরিচিত। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনী। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। এমনকি পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।সবার আগে আমাদের জানা উচিৎ কি এই শব্দের প্রকৃত অর্থ ‘অম্বুবাচী’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘অম্বু’ বা জল ‘বাচি ‘অর্থাৎ সূচনা|এই সময় থেকে প্রকৃতির নব সৃষ্টি কার্যর সূচনা হয়|মনে করা হয়, আষাঢ় মাসে মৃগশিরা নক্ষত্রের চতুর্থ পদে ঋতুমতী হন ধরিত্রী। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন। শাস্ত্র মতে অম্বুবাচির আরম্ভ কাল কে বলে অম্বুবাচী প্রবৃত্তি ও সমাপ্তিমে বলে অম্বুবাচি নিবৃত্তি|অম্বুবাচীর সময় দেবী পূজা বন্ধ থাকলেও,বিভিন্ন তন্ত্রের আরাধনা করা হয়|বিগত বছর গুলিতে তারাপীঠ কামাখ্যা সহ একাধিক শক্তি পীঠে নানান বিধি নিষেধ আরোপিত ছিলো তাই সেই আগের মতো তন্ত্র সাধনা বা জনসমাগম হয়তো চোখে পড়েনি তবে এবছর আবার সেই চেনা ছবি দেখা যেতে পারে|অসমের কামাক্ষ্যায় বিশেষ পুজো পালিত হয় অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে। এই তিনদিন সময়ের মধ্যে কামাক্ষ্যা থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত দেবীস্থানে দরজা বন্ধ থাকে। স্পর্শ করার নিয়ম থাকে না দেবীকে। শাস্ত্র মতে, সতীর গর্ভ ও যোনি পড়েছিল কামাক্ষ্যায়। সেই সময় থেকে এই জায়গা পবিত্র সতীপীঠ।আগামী পর্ব গুলিতে বলবো কামাখ্যা ও অম্বুবাচি সংক্রান্ত আরো অনেক কথা পাশাপাশি জানাবো এই সময়ে কি করবেন এবং কি করবেন না তাই পড়তে থাকুন|জ্যোতিষ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|নমস্কার|