পুরান কথা – বিষ্ণুর হয়গ্রীব রূপ

439

বিষ্ণু যেমন নানা সময়ে অবতার রূপে পৃথিবীতে এসেছেন তেমনই তার কয়েকটি বিশেষরূপ ও রয়েছে যা বিশেষ কিছু কার্য সম্পাদন করার জন্য তিনি ধারন করেছিলেন যেমন মোহিনী রূপ বা হয়গ্রীব রূপ|আজ বলবো বিষ্ণুর হয়গ্রীব রূপ নিয়ে ও জানাবো তার তাৎপর্য|দেবতা ও অসুরদের দ্বন্দ্ব বহু বার হয়েছে|কথিত আছে, একবার মধু আর কৈটভ নামের দুই অসুর ব্রহ্মার কাছ থেকে বেদ চুরি করে পালায়। ব্রহ্মা উপায় না পেয়ে বিষ্ণুর দ্বারস্থ হন। বিষ্ণু তখন ‘হয়গ্রীব’ তথা ‘অর্ধেক ঘোড়া, অর্ধেক মানুষ’ রূপ ধরে অসুরদের পিছনে ধাওয়া করেন ও তাদের পরাস্ত বেদ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।কিন্তু পথের মাঝে অবতারেই বেদ সহ ঘুমিয়ে পড়েন। সেই ফাঁকে অসুররা আবার ফেরত আসে এবং বিষ্ণুকে আক্রমণ করে। এই স্থানে দুপক্ষের প্রবল যুদ্ধ হয় এবং অসুররা পরাজিত হয়।সেই যুদ্ধের স্থান ছিলো আসাম এর মনীকুট পাহাড়‘মণিকূট’-এর ওপর রয়েছে তীর্থস্থল ‘হয়গ্রীব মাধবমন্দির’। এই মন্দিরের মূল দেবতাই বিষ্ণুর অবতার ‘হয়গ্রীব’-এর। আবার তিব্বতি বৌদ্ধদের তান্ত্রিক শাখার মতে ‘হয়গ্রীব’ মূর্তি তিব্বতি বজ্রযান বৌদ্ধমূর্তি। আর গৌতম বুদ্ধ এই স্থানেই নির্বাণ লাভ করেন। তাই এই মন্দির তিব্বতি বৌদ্ধদেরও তীর্থক্ষেত্র।আবার আগামী পর্বে এমনই কোনো পৌরাণিক বিষয় নিয়ে ফিরে আসবো|চলবে পুরান কথা|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|