পুরান কথা – নিধীবনের রহস্য

313

বৃন্দাবনে অবস্থিত নিধীবন নিয়ে, যাকে ঘিরে আছে অজস্র লোক কথা ও রহস্যময় ঘটনা বৃন্দাবনের নিধীবনের পাশেই রয়েছে বিখ্যাত বাঁকে বিহারীর মন্দির মনে করা হয় প্রতি রাতেই এই মন্দিরে বিশ্রাম করতে আসেন স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ|তার রাত কাটানোর নানা প্রমান পাওয়াযায় সকালে মন্দিরের দরজা খোলার পর যা অলৌকিক কিন্তু বাস্তব|মনে করা হয়, এই বনেই গোপিনীদের সঙ্গে রাস লীলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ৷ এই বনের গাছ চির সবুজ ৷ কখনও, কোনও কারণে, এমনকী গাছ ফাঁপা হয়ে গেলেও বা জলের অভাব ঘটলেও গাছের পাতা কখনও হলুদ হয় না বা শুকিয়ে যায় না|আজও প্রতি রাতে কৃষ্ণ তার গোপিনীদের নিয়ে রাসলীলায় মেতে ওঠেন নিধীবনে|আশ্চর্যজনক ভাবে সূর্য ডোবার সাথে সাথে প্রতিটি প্রাণী বন ছেড়ে চলে যায়|কথিত আছে রাতে বনের প্রতিটি গাছ গোপিনীর রূপ ধরে শ্রী কৃষ্ণের সাথে রাসলীলায় অংশ নেয় এবং সূর্যউদয়ের আগে আবার সবকিছু ফিরে যায় আগের অবস্থায়|এমনকি এই বনে রাতে নূপুরের শব্দও শোনা যায়|সন্ধের পর এখানে প্রবেশ নিষেধ|এই নির্দেশ যারা মানেননি তাদের করুন পরিণতির কোথাও শোনা যায়|এমনকি আশপাশের বাড়ি গুলির জানালা যদি নিধীবনের দিকে থাকে তবে সেগুলিও বন্ধ রাখা হয় রাতে|পুরান ও শাস্ত্র গুলিতে কতইনা রহস্য লুকিয়ে আছে আগামী পর্বে ফিরে আসবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|