মানব জীবনে জন্মছক বিশ্লেষণ করলে অথবা হস্তরেখা বিচার করলে দেখা যায় অনেকেরই কিছু না কিছু গ্রহদোষ রয়েছে। অর্থাৎ কিছু শুভ গ্রহ এবং কিছু অশুভ গ্রহের গ্রহগত সংযোগ ও তার কুপ্রভাব দেখা যায় এবং সেই প্রভাব আজীবন বয়ে বেড়াতে হয় যদি না সঠিক সময়ে শাস্ত্র সম্মত ভাবে সেই গ্রহ দোষ খণ্ডন হয় । সমস্যা থাকলে সমাধানও রয়েছে, তবে এই গ্রহ দোষ খণ্ডনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সময় ও পদ্ধতি|তন্ত্র মতে বা শাস্ত্র সম্মত ভাবে গ্রহ দোষ খণ্ডনের ক্ষেত্রে যে বিশেষ অমাবস্যা তিথি গুলি রয়েছে তার মধ্যে দীপান্বিতা অমাবস্যা, কৌশিকী অমাবস্যা বা মৌনী অমাবস্যার থেকেও কিছুটা এগিয়ে থাকে ফল হারিনী অমাবস্যা কারন এই অমাবস্যার অর্থাৎই হলো জন্ম জন্মান্তরের পাপের ফল থেকে মুক্তি লাভ|শাস্ত্র মতে এই সময়ে করা যেকোনো তন্ত্র ক্রিয়া বা গ্রহ দোষ খণ্ডনের উপাচারের ফলে দেবী কালীর কৃপা সহজেই লাভ করা যায় এবং তিনি সমস্ত গ্রুহ গত কুপ্রভাব ও তার খারাপ ফল হরণ করে নেন এই তিথিতে ফল হারিণী রূপে ভক্তের পূজা গ্রহন করেনতাই এই অমাবস্যা ফলহারিনী নামে পরিচিত|এই অমাবস্যার অন্য একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যও রয়েছে, দক্ষিনেশ্বরে রামকৃষ্ণদেব ফলহারিণী কালী পুজোর দিনই স্ত্রী সারদা দেবীকে পুজো আদি শক্তির প্রতীক রূপে|শক্তি সাধনার এ এক অনন্য নজির|বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই বিশেষ অমাবস্যায় কামাখ্যা, তারাপীঠ সহ একাধিক স্থানে তান্ত্রিক জ্যোতিষীরা উপস্থিত হয়ে বিশেষ পুজো,হোম যজ্ঞর মাধ্যমে বহু মানুষের গ্রহগত দোষ খণ্ডন করতেন|আজও চলছে সেই পরম্পরা|আজ ফল হারিণী অমাবস্যায় আমি রয়েছি তারাপীঠে এবং সারাদিন বিশেষ পূজা ও গ্রহ দোষ খণ্ডনের আয়োজন করা হয়েছে আপনাদের সবাইকে জানাই ফল হারিণী কালী পুজোর শুভেচ্ছা|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|