পুরানকথা – শুক্রচার্য

558

আমাদের শাস্ত্রে এবং পুরানে যে শুধু দেব দেবী বা অসুরের উল্লেখ রয়েছে তা নয় তার পাশাপাশি বহু ঋষি মুনির জীবন বৃত্তান্ত আছে যাদের মধ্যে অন্যতম শুক্রচার্য|আজ পুরান কথায় শুক্রচার্যর জীবন ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো|শুক্রচার্য ছিলেন মহর্ষি ভৃগুর ও কাব্যর পুত্র এবং তিনি ছিলেন অসুরদের পুরোহিত। দেবতা এবং অসুরদের মধ্যে অবিরাম যুদ্ধ চলত এবং এই একটানা যুদ্ধে অসুরদের একটি বিশেষ সুবিধা এই ছিল যে তাদের সঙ্গে শুক্রাচার্য ছিলেন। তাঁর ক্ষমতা ছিল অপরিসীম। এবং তাঁর কাছে সঞ্জীবনী শক্তি ছিল। সঞ্জীবনী মন্ত্রের সাহায্যে যুদ্ধে মৃতদের তিনি পুনরুজ্জীবিত করতে পারতেন।প্রত্যেক দিনের শেষে যুদ্ধক্ষেত্রে যতজন অসুর মারা যেতেন তারা আবার বেঁচে উঠতেন এবং পরদিন সকালে যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতেন।কিন্তু কেনো শুক্রচার্জ অসুরদের পক্ষ নিলেন তার উত্তর রয়েছে পুরানে|একবার দেবতা ও অসুরদের যুদ্ধে অসুরদের আধিপত্য থাকায় দেবতারা বিষ্ণুদেবের কাছে সাহায্য চান। বিষ্ণুদেব অসুর বধে উদ্যত হলে দেখেন ভৃগুপত্নীর আশ্রয়ে অসুররা সুরক্ষিত। তখন বিষ্ণু কাব্য মাতাকে অনুরোধ করে অসুরদের ছেড়ে দিতে বললে কাব্য মাতা আশ্রয় গ্রহণকারীকে ঈশ্বরের রূপ ভেবে যেতে দেননি। কিন্তু বিষ্ণু কখনোই নারীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চান না শেষে উপায়ান্তর না পেয়ে বিষ্ণু সুদর্শন চক্র দিয়ে কাব্য মাতার প্রাণ হরণ করে নেন পরে এই ঘটনা জেনে জেনে ঋষি ভৃগু নারায়ণকে অভিশাপ দেন এবং অসুরগুরু শুক্রাচার্য বিষ্ণুকে পরমশত্রু ভাবেন ও আজীবন অসুর দের পক্ষ নিয়ে দেবতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান|আরো এমন পুরান কথা নিয়ে ফিরে আসবো যথা সময়ে|জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|