আজ বৃহস্পতিবার মানে দেবী লক্ষীর দিন|আমরা জানি দেবী লক্ষীর বাহন প্যাঁচা|কিন্তু কেনো তার বাহন প্যাঁচা তার অনেক গুলি কারন ও ব্যাখ্যা আছে|আজ সেই নিয়ে আলোচনা করবো|বলা হয় ধান বাঙালির কাছে লক্ষী কিন্তু এই ধান ইঁদুরে খেয়ে ফেলে ধানের গোলায় ইঁদুর ঢুকে নষ্ট করে খাদ্যশস্য তাই ধানের শত্রু ইঁদুর। আর ইঁদুরকে খায় পেঁচা অর্থাৎ ধানকে রক্ষা করে ইঁদুরের হাত থেকে। তাই লক্ষ্মী দেবীর বাহন এই রাত জাগা পাখি।তবে লক্ষ্মীদেবীর বাহন হিসেবে পন্ডিতদের যে মতটি সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য তা হলো যিনি লক্ষ্মী গুন অর্থাৎ সত্য প্রেম পবিত্রতা তপস্যা তিতিক্ষা পেতে চান তাকে পেচক ধর্ম পালন করতে হবে অর্থাৎ জাগতিক বস্তু থেকে একটু দূরে থেকে নির্জনে যোগৈশ্বর্য ও সাধন সম্পদ রক্ষা করতে হয় পেঁচা যদি দিনের বেলায় বের হয় অন্যান্য পাখিরা তাকে তাড়া করে অতি গোপনে পেচা বাস করে। সেরকমই পূর্ণতা লাভ না করা পর্যন্ত জাগতিক বিষয় ব্যক্তি দৈব সম্পদ নষ্ট করে।এসব কারনে পেচাকে লক্ষীর বাহন হিসেবে রেখে দিয়েছেন কারন পেঁচা নিঃশব্দে, অন্ধকারে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে এগিয়ে যায়|ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, পেঁচা আসলে যমের দূত। যম অর্থ সংযম, যম মানে ধর্ম। ধনোপার্জনের ক্ষেত্রেও সংযমবুদ্ধি ও ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত রাখার প্রতীক পেঁচা। যমদূত পেচক তাঁর নিজের বৃত্তি ও প্রভুর ধর্মের কথা স্মরণ করিয়ে মৃত্যুচিন্তা ও আত্মচিন্তা জাগ্রত করে মানুষের মনে তাই সে লক্ষীর বাহন হিসেবেও স্থান পেয়েছে|আবার কোজাগরীর রাতে মা লক্ষ্মী খোঁজ নেন কে জাগ্রত রয়েছে। জেগে থাকা ব্যক্তিকেই তিনি ধনের সন্ধান দেন। পেঁচা প্রতি রাতেই জেগে থাকে। দিনে ঘুমায় তাই প্যাঁচাকে দেবী নির্বাচন করেছেন তার বাহন রূপে|চলবে পুরান কথা|হবে আরো অনেক পুরান কথা|জানতে পারবেন বহু পৌরাণিক ঘটনা ও তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা|সঙ্গে থাকুন|পড়তে থাকুন|ধন্যবাদ|