সামনেই দীপান্বিতা অমাবস্যা ওই বিশেষ তিথিতে উপস্থিত থাকবো তারাপীঠে,হবে হোম যজ্ঞ, পুজো, শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে গ্রহের প্রতিকার,বহু মানুষ উপস্থিত থাকবেন, সরাসরি সম্প্রচার ও হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারই মাঝে সময় বের করে আজ কালী কথা নিয়ে আমি আবার উপস্থিত, কালী কথার আজকের পর্বে সংক্ষেপে বাংলার কালীপুজোর ইতিহাসকে আপনাদের সামনের আনার চেষ্টা করবো|প্রাচীন কালে বাংলায় কালী পুজো শুধু মাত্র ডাকাত ও শ্মশানবাসি তন্ত্র সাধকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো|বাংলায় নবদ্বীপের প্রথিতযশা তান্ত্রিক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশকে বাংলায় কালীমূর্তি ও কালীপূজার প্রবর্তক মনে করা হয়। তাঁর পূর্বে কালী উপাসকগণ তাম্রটাটে ইষ্টদেবীর যন্ত্র এঁকে বা খোদাই করে পূজা করতেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন। বাংলার কালী পুজোর ইতিহাস অনুসারে চামুণ্ডা কালীর পূজা বাংলা ও বহির্বঙ্গে প্রাচীন উৎসব হলেও বর্তমান আকারে কালীপূজা আধুনিক কালের। ষোড়শ শতাব্দীতে নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ স্মার্ত পণ্ডিত তথা নব্যস্মৃতির স্রষ্টা রঘুনন্দন দীপান্বিতা অমাবস্যায় লক্ষ্মীপূজার বিধান দিলেও, কালীপূজার উল্লেখ করেননি। ১৭৬৮ সালে রচিত কাশীনাথের কালী সপর্যাসবিধি গ্রন্থে দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালীপূজার বিধান পাওয়া যায়। তবে খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে বাংলায় কালীপূজার প্রচলনের কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।ঊনবিংশ শতাব্দীতে কৃষ্ণচন্দ্রের পৌত্র ঈশানচন্দ্র ও বাংলার ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।ধীরে ধীরে বনেদী বাড়ি গুলিতে দুর্গাপূজার পাশাপাশি কালী পুজোও আরম্ভ হয়|বর্তমানে কালীপূজা বাংলায় দুর্গাপূজার মতোই এক বিরাট উৎসব|শুধু উৎসব নয় এই তিথি তন্ত্র ও জ্যোতিষ জগতের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তিথিএই তিথিকে ব্যবহার করে জীবনের সমস্যার সমাধান চাইলে অবশ্যই যোগাযোগ করুন আমার সাথে উল্লেখিত নাম্বারে বাকি টা আমি বলে দেবো|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|