আগামী 9 তারিখ অর্থাৎ বুধবার,ফল হারিনী অমাবস্যা, এবারও আপনাদের সবাইকে মাহৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়েছে, প্রথমেই আমার সব পাঠক ও অনুরাগীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখি এই বিশেষ পুজো ও হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠানে|মহামারী সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও লকডাউন চলার জন্যে এবার জনসমাগম হবেনা, কিন্তু শাস্ত্র মতে পুজোপাঠে কোনো ত্রুটি হবে না, প্রতি বারের ন্যায় গ্রহ দোষ খণ্ডনের আয়োজন ও থাকছে এবং প্রযুক্তির সাহায্যে আপনারা সমগ্র পুজো পক্রিয়া ঘরে বসে দেখতে পারবেন ও অংশ নিতে পারবেন, গ্রহদোষ খণ্ডন ও করাতে পারবেন বাড়িতে বসেই|এই সংক্রান্ত সব তথ্য মন্দিরের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে নিয়মিত দেয়া থাকবে|
এবার এই তিথির আধ্যাত্মিক এবং শাস্ত্রীয় তাৎপর্য সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক|
জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়।মানুষ সারা জীবন কর্ম করে যান। কিন্তু মনে করা হয়, এই কর্মসমূহের ফল দান করেন দেবী কালিকা|ফলহারিণী কালী পুজোর দিন মা কালী স্বয়ং তাঁর সন্তানদের শুভ ফল প্রদান করেন এবং সেই সঙ্গে তাঁদের অশুভ ফলও হরণ করে থাকেন, একদিকে ফলহারিণী রূপে তিনি সাধকের কর্মফল হরণ করেন। অন্য দিকে তাদের অভীষ্টফল, মোক্ষফল প্রদান করেন|
স্বাভাবিক ভাবেই এই তিথিতে দেবীকে পুজো করে তার কৃপা লাভ করলে জীবনের সব দুক্ষ, কষ্ট ও পাপ দূর হয়|
জ্যোতিষ শাস্ত্রে যতরকম প্রতিকারের কথায় উল্লেখ আছে তার মধ্যে শাস্ত্র মতে পুজো পাঠ ও মন্ত্র উচ্চারনের মধ্যে দিয়ে গ্রহদোষ খণ্ডনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে|এক্ষেত্রে তিথি খুব গুরুত্বপূর্ণ|সঠিক তিথিতে করা শাস্ত্রীয় মতে দোষ খণ্ডন সবথেকে বেশি প্রভাব শালী হয়, এবং এই তিথি গুলির মধ্যে ফলহারিনী অমাবস্যা কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ তিথি হিসেবে দেখা হয়|
বিগত বছর থেকে কৌশিকী অমাবস্যা, ফলহারিনী অমাবস্যা দীপান্বিতা অমাবস্যা সহ প্রায় প্রতিটি তিথিতেই আপনাদের মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়ে আসছে, অসংখ্য মানুষ ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছেন, নিজেদের গ্রহ দোষ খণ্ডন করিয়েছেন|মা সর্বমঙ্গলার একজন উপাসক ও সেবক হিসেবে আমি শুধু উপস্থিতি থেকেছি এবং মাধ্যম হিসেবে কাজ করে গেছি|আসন্ন ফলহারিনী অমাবস্যাতেও একি ভাবে থাকবো|যারা ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন তাদের ধন্যবাদ|যারা এখনো যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি কিন্তু ইচ্ছে আছে তারা উল্লেখিত নাম্বারে ফোন করে কথা বলতে পারেন যেকোনো সময়ে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|