হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা

816

আগামী কাল ফলহারিনী অমাবস্যা, ফলহারিণী অমাবস্যা তন্ত্র ও জ্যোতিষ জগতে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন।জ্যৈষ্ঠমাসের অমাবস্যা তিথিতে ফলহারিণী মাতারূপে দেবী কালী পূজিতা হন। ধরিত্রীজাত ফলের সঙ্গে এই মাতৃপুজোর কোনও সম্পর্ক নেই। এই ফল মানবজাতির কর্মফলের কথা স্মরণ করায়।দিনটিতে মা স্বয়ং ভক্তদের সুকর্মের জন্য আশীর্বাদ প্রদান করেন। অপরদিকে সন্তানের কুকর্মের জন্য উদ্ভূত অশুভ ফলের প্রভাব থেকে তিনিই আবার সন্তানদের মুক্ত করেন। অর্থাৎ ওই দিনে মা স্বয়ং যেমন সন্তানদের শুভ ফল প্রদান করেন, তেমনি তিনি সন্তানদের অশুভ ফলও হরণ করে থাকেন। এই তিথিতে যেকোনো গ্রহ দোষ খণ্ডন বা প্রতিকার ধারন অনেক বেশি কার্যকরী হয় বলে শাস্ত্রে বর্ণিত আছে|

কয়েক বছর আগে এমনই এক ফল হারিনী অমাবস্যার পুন্য সময়ে আপনাদের হৃদয়েশ্বরী সর্ব মঙ্গলা মন্দিরের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিলো সর্ব সাধারণের জন্যে, যদিও আমি নিজে ব্যাক্তিগত ভাবে দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে সেবক এবং উপাসক হিসেবে মা সর্বমঙ্গলা পুজোয় নিয়োজিত রয়েছি, আপনারা জানেন আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক অলৌকিক ঘটনা থেকেই, দেবী সর্বমঙ্গলার আগমন এবং পরবর্তীতে হৃদয়েশ্বরী দেবী সর্বমঙ্গলার মন্দির প্রতিষ্ঠা|শুরুর দিন থেকেই অসংখ্য মানুষ যুক্ত হয়েছেন এই আধ্যাত্মিক কর্মকান্ডের সাথে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সমর্থক করেছেন নানা ভাবে|বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক সম্ভব না হলেও মানসিক ভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ পাশে থেকেছেন|প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে দেবীকে দর্শন করেছেন, পূজা দিয়েছেন|

আপনারা হয়তো জানেন জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যার প্রতিকার যেমন রত্ন বা কবজ ধারনের মাধ্যমে হয় তেমনি সঠিক পদ্ধতিতে মন্ত্র উচ্চারণ পূজা পাঠ ও হোম যজ্ঞের মাধ্যমে গ্রহদোষ খণ্ডনের মাধ্যমেও হয়|আর এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকর হয় প্রতিকার|এই প্রতিকারে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে আপনাদের হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে|বিশেষ তিথি তে হবে বিশেষ পুজো,যজ্ঞ আহুতি দান ও শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডন|সবই হবে প্রয়োজন অনুসারে|সামনেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিথি যার মধ্যে অন্যতম ফলহারিনী অমাবস্যা|আসুন এই সময় কে কাজে লাগান| আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে মা সর্বমঙ্গলার আশীর্বাদে জীবনের সব বাঁধা দুর করে সাফল্য লাভ করুন|

যারা জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করেছেন তাদের অনেকেরই শাস্ত্র মতে গ্রহদোষ খণ্ডন করে প্রতিকারের ব্যবস্থা হয়েছে এই মন্দিরে, প্রযুক্তির ব্যবহারে তারা সাক্ষী থেকেছেন সেই বিরল মুহূর্তের|সাফল্য এসেছে, এসেছে ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা|আমিও ধন্য হয়েছি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে, তাদের জীবনের সমস্যা দুর করতে পেরে|এই পদ্ধতিতে মানুষের পাশে থাকা এই ভাবে চলতে থাকবেন আগামী দিনেও|জীবনে হতাশ হবেননা, আস্থা হারাবেননা, এগিয়ে চলুন, বাকিটা ছেড়ে দিন মা সর্ব মঙ্গলার উপর|তিনি মঙ্গল করেন সবার, দুর করেন দুঃক্ষ কষ্ট|

আপনারা হয়তো জানেন জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যার প্রতিকার যেমন রত্ন বা কবজ ধারনের মাধ্যমে হয় তেমনি সঠিক পদ্ধতিতে মন্ত্র উচ্চারণ পূজা পাঠ ও হোম যজ্ঞের মাধ্যমে গ্রহদোষ খণ্ডনের মাধ্যমেও হয়|আর এই পদ্ধতিতে অত্যন্ত কার্যকর হয় প্রতিকার|এই প্রতিকারে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে আপনাদের হৃদয়েশ্বরী মা সর্বমঙ্গলা মন্দিরে|বিশেষ তিথি তে হবে বিশেষ পুজো,যজ্ঞ আহুতি দান ও শাস্ত্র মতে গ্রহ দোষ খণ্ডন|সবই হবে প্রয়োজন অনুসারে|সামনেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তিথি যার মধ্যে অন্যতম ফলহারিনী অমাবস্যা|আসুন এই সময় কে কাজে লাগান| আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে মা সর্বমঙ্গলার আশীর্বাদে জীবনের সব বাঁধা দুর করে সাফল্য লাভ করুন|

আমাদের দেশে প্রাচীনতম ও সর্বাধিক জনপ্রিয় সর্ব মঙ্গলা মন্দির অবস্থিত বর্ধমানে|যাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু অলৌকিক লোককাহিনী বা কিংবদন্তী|কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে শহর বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিল। সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতো। পরবর্তীতে বর্ধমান মহারাজা সঙ্গম রায় স্বপ্নাদেশ পেয়ে শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন।যদিও এই নিয়ে কিঞ্চিৎ মতপার্থক্য রয়েছে| পরবর্তীকালে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য খচিত সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব|মন্দিরের তুলনায় দেবী মূর্তি বহু প্রাচীন|কারুর কারুর মতে দেবী মূর্তি হাজার বা দুহাজার বছরের পুরোনো|পরবর্তীতে শেষ যুবরাজ উদয়চাঁদ মহতাব ট্রাস্ট কমিটি গঠন করেন এবং প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পরম্পরা আজও চলে আসছে একি নিষ্ঠা ও ভক্তির সাথে|

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী দেবী সর্বমঙ্গলা মূলত বাংলার লৌকিক দেবতা হলেও অনেকেই
মন্দিরটিকে শক্তিপীঠ বলেন|সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল।দেবী সর্বমঙ্গলার ভৈরব এখানে মহাদেব|সর্বমঙ্গলা দেবীর মুল মূর্তিটি কষ্টি পাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী ‘মহিষমর্দিনী’ মহালক্ষীরূপিণী|কষ্টি পাথরে নির্মিত হওয়ায় দেবী মূর্তি স্বাভাবিক ভাবেই ঘোর কৃষ্ণবর্ণের|তাছাড়া তিনি আদ্যা শক্তি মহামায়ার রূপ বিশেষ তাই করল বদনা হওয়াটাই স্বাভাবিক|

আমার গৃহমন্দিরে স্থাপিত হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার রূপ সৃষ্টির খেত্রে তার আদি ও প্রাচীনতম প্রচলিত রূপকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে|দেবী করাল বদনা এবং আদ্যা শক্তি মহা মায়ার একটি রূপ বিশেষ তিনি দূর্গা ও কালীর সম্মিলিত রূপ|এই ফল হারিনী অমাবস্যায় দেবী ফলহারিনী রূপে বিরাজ করেন ও কর্মফল থেকে মুক্তি দিয়ে তার ভক্তদের মনোস্কামনা পূর্ণ করেন|

প্রতিটা বিশেষ তিথিতেই বিশেষ পূজা, হোম যজ্ঞ, চণ্ডী পাঠ ও প্রসাদ বিতরনের সু ব্যবস্থা থাকে মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলার মন্দিরে|শাস্ত্র মতে হয় গ্রহ দোষ খণ্ডন|এবারও এই ফলহারিনী অমাবস্যায় একি রকম ব্যবস্থা থাকছে মন্দিরে|আপনাদের এই মন্দির, আপনাদের এই আধ্যাত্মিক কর্মযজ্ঞ আপনাদেরকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে|আমি পাশে থাকবো আর সবার উপরে থাকবেন মা হৃদয়েশ্বরী সর্বমঙ্গলা|ভালো থাকুন|নমস্কার|