আরে কয়েকটি দিন পরেই ফলহারিণী কালী পূজা, ইতিমধ্যে ফল হারিনী অমাবস্যার মাহাত্ম নিয়ে বেশ কয়েকটি উপস্থাপনা আমি আপনাদের সামনে এনেছি, আগামী দিনে এই তিথীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য ও জ্যোতিষ এবং তন্ত্র জগতের সাথে এই অমাবস্যার গভীর সম্পর্ক নিয়ে আরো অনেক কথাই বলবো|এই সময়টা কালী কথা বা কালী তত্ব নিয়ে আলোচনা করার শ্রেষ্ঠ সময় তাই এই পরম্পরা বজায় রেখে আজকের বাংলার কালীতে এক অদ্ভুত এবং ব্যাতিক্রমী কালী মন্দির নিয়ে লিখবো, জানবো এমন একটি মন্দিরের কথা যেখানে একটি নয় একটি নয় একসাথে দুটি কালী মূর্তির পুজো হয়|
বর্ধমানের কাটোয়ায় রয়েছে এই প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন জোড়া কালী মন্দির|শুরুতে অবশ্য একটি মূর্তির পুজো হতো এবং কেনো ও কিভাবে এই জোড়া কালী একসাথে দুটি কালী মূর্তির পুজো শুরু হয় তা জানতে গেলে বাংলার ইতিহাসের একটি বিশেষ অধ্যায় জানতে হবে|
বাংলার মসনদে তখন নবাব সিরাজ উদ দৌলা, পার্বতীচরণ শর্মা ছিলেন বাংলার নবাব সিরাজদৌলার উচ্চপদস্থ কর্মচারী। নবাব তাঁকে এই অঞ্চলের জমিদার হিসাবে নিযুক্ত করেন এই বংশেরই এক সদস্যর হাতেই শুরু হয়েছিলো এই কালী পুজো|পরবর্তীতে পরিবার ভাগ হওয়ার পর পারিবারিক অশান্তির জেরে একবছর পৃথকভাবে এক সদস্য কালীপুজো শুরু করেন, তবে তার ফল একেবারেই ভালো হয়নি, সেবছর পরিবারে নাকি কিছু ভয়ঙ্কর বিপদ হয়েছিল এবং কিছুকাল পরে দেবী স্বপ্নাদেশে নাকি জানিয়েছিলেন একই বেদিতে জোড়া প্রতিমার পুজো করতে হবে। তখন থেকেই একই মন্দিরে জোড়া প্রতিমার পুজো হয়ে আসছে|
এক কালে এই পুজোয় বলি প্রথা চালু থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে বৈষ্ণব মতে পুজো শুরু হয়, এই নিয়েও আছে এক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ|
শোনা যায় প্রায় ৩০০ বছর আগে কালীপুজোয় রাতে বলিদান হয়েছিল। সেই মাংস বলী প্রদত্ত মাংস পরের দিন রান্না করে সকলে যখন ভোজ খাচ্ছিলেন তখন মাংসে রহস্যজনক কটু গন্ধ পাওয়া যায়। পুরোহিত তখন পরামর্শ দিয়েছিলেন, মায়ের পুজোয় প্রাণীহত্যা বন্ধ করতে। সেই থেকে বলিদান প্রথা বন্ধ হয়ে যায় এই পুজোয়|
বর্তমানে বাংলার আর কোথাও এক সাথে এই রূপ জোড়া কালী মূর্তির পুজো সেই ভাবে লখ্য করা যায়না|প্রতিটি বিশেষ তিথীতে এখানে ধুমধাম করেই পুজো হয়। আশপাশের গ্রামের মানুষ এই জোড়া কালীর পুজোয় অংশ নেন। সকলেই জাগ্রতা দেবী হিসাবে মানেন জোড়া কালীকে|দেবী বেশ অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ও বহু মানুষ তার কাছে আসেন মনোস্কামনা নিয়ে|
আগামী পর্বে আবার ফিরে আসবো এমন কোনো কালী মন্দিরের কথা নিয়ে|দেখতে থাকুন আমার ইউটিউব এবং টিভির অনুষ্ঠান ও যেকনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যানিয়ে আমার সাথে কথা বলতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|
বর্ধমানের কাটোয়ায় রয়েছে এই প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীন জোড়া কালী মন্দির|শুরুতে অবশ্য একটি মূর্তির পুজো হতো এবং কেনো ও কিভাবে এই জোড়া কালী একসাথে দুটি কালী মূর্তির পুজো শুরু হয় তা জানতে গেলে বাংলার ইতিহাসের একটি বিশেষ অধ্যায় জানতে হবে|
বাংলার মসনদে তখন নবাব সিরাজ উদ দৌলা, পার্বতীচরণ শর্মা ছিলেন বাংলার নবাব সিরাজদৌলার উচ্চপদস্থ কর্মচারী। নবাব তাঁকে এই অঞ্চলের জমিদার হিসাবে নিযুক্ত করেন এই বংশেরই এক সদস্যর হাতেই শুরু হয়েছিলো এই কালী পুজো|পরবর্তীতে পরিবার ভাগ হওয়ার পর পারিবারিক অশান্তির জেরে একবছর পৃথকভাবে এক সদস্য কালীপুজো শুরু করেন, তবে তার ফল একেবারেই ভালো হয়নি, সেবছর পরিবারে নাকি কিছু ভয়ঙ্কর বিপদ হয়েছিল এবং কিছুকাল পরে দেবী স্বপ্নাদেশে নাকি জানিয়েছিলেন একই বেদিতে জোড়া প্রতিমার পুজো করতে হবে। তখন থেকেই একই মন্দিরে জোড়া প্রতিমার পুজো হয়ে আসছে|
এক কালে এই পুজোয় বলি প্রথা চালু থাকলেও পরে তা বন্ধ হয়ে বৈষ্ণব মতে পুজো শুরু হয়, এই নিয়েও আছে এক অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ|
শোনা যায় প্রায় ৩০০ বছর আগে কালীপুজোয় রাতে বলিদান হয়েছিল। সেই মাংস বলী প্রদত্ত মাংস পরের দিন রান্না করে সকলে যখন ভোজ খাচ্ছিলেন তখন মাংসে রহস্যজনক কটু গন্ধ পাওয়া যায়। পুরোহিত তখন পরামর্শ দিয়েছিলেন, মায়ের পুজোয় প্রাণীহত্যা বন্ধ করতে। সেই থেকে বলিদান প্রথা বন্ধ হয়ে যায় এই পুজোয়|
বর্তমানে বাংলার আর কোথাও এক সাথে এই রূপ জোড়া কালী মূর্তির পুজো সেই ভাবে লখ্য করা যায়না|প্রতিটি বিশেষ তিথীতে এখানে ধুমধাম করেই পুজো হয়। আশপাশের গ্রামের মানুষ এই জোড়া কালীর পুজোয় অংশ নেন। সকলেই জাগ্রতা দেবী হিসাবে মানেন জোড়া কালীকে|দেবী বেশ অত্যন্ত প্রসিদ্ধ ও বহু মানুষ তার কাছে আসেন মনোস্কামনা নিয়ে|
আগামী পর্বে আবার ফিরে আসবো এমন কোনো কালী মন্দিরের কথা নিয়ে|দেখতে থাকুন আমার ইউটিউব এবং টিভির অনুষ্ঠান ও যেকনো জ্যোতিষ সংক্রান্ত সমস্যানিয়ে আমার সাথে কথা বলতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|