মন্দির রহস্য – ভূতওয়ালা মন্দির

383

ভগবানের নাম শুনলে অশরীরীরা পালিয়ে যায় , কিন্তু শিব ব্যাতিক্রম, তিনি ভূতনাথ|শিবকে ঘিরে থাকে অশরীরীরা|এমনকি এদেশে এমন একটি মন্দির ও আছে যা নির্মাণ করেছিলো ভুতেরা,তাদের উপস্থিতি মন্দিরকে অন্য মাত্রা দেয়, মন্দিরের নামই ভূতওয়ালা মন্দির|

উত্তর প্রদেশের দাতিয়ানা নামের এক গ্রামে রয়েছে এই ভূতওয়ালা মন্দির|মন্দিরের গর্ভগৃহে রয়েছে স্বয়ং ভূতনাথ|মন্দির নাকি রাতারাতি নির্মাণ করেছিলো একদল অশরীরী|পুজো পাঠের দায়িত্বও তাদের উপরেই|মন্দিরের নির্মাণ শৈলীও বেশ অদ্ভুত|ইটের গাঁথা দেয়াল কিন্তু সিমেন্ট বলে কিছু ব্যবহার হয়নি|মন্দিরের চুড়ো কিছুটা অসম্পূর্ণ কারন একরাতে নির্মিত হয়ে ছিলো মন্দির, ভোরের আলো ফোটায় ভুতেরা ওই কাজ টুকু শেষ করতে পারেনি|

বন্যা, ঝড় , বজ্রপাত এবং ভূমিকম্পর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মন্দিরের প্রাচীন অংশের কোনো ক্ষতি হয়না, উল্টে গোটা গ্রামকে যেকোনো বিপদে রক্ষা করে এই মন্দির|এমনটাই জনশ্রুতি চলে আসছে কয়েকশো বছর ধরে|

সন্ধের পর এই মন্দির চত্বরে পা রাখলেই একটি গা ছমছমে অনুভূতি হতে বাধ্য, স্বয়ং ভূতনাথ ও তার অনুগত ভূত প্রেতের বাসস্থান হিসেবে এই মন্দিরকে সমিহ করে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা|ভক্তি সহকারে পুজো করে নিজের মনোস্কামনা জানাতে আসেন অসংখ্য মানুষ|সব মিলিয়ে ভূত ওয়ালা মন্দির সত্যি বেশ রহস্যময়|

পরের পর্বে আবার কোনো রহস্যময় মন্দির নিয়ে ফিরে আসবো|ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, জ্যোতিষ সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ধন্যবাদ|