শক্তিপীঠ ঢাকেশ্বরী

679

আপাতত প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্যে অফলাইন চেম্বার প্রাকটিসের থেকে অনলাইন কন্সালটেন্সির উপর একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হয়েছে তাই হাতে রয়েছে কিছুটা বাড়তি অবসর আর সেই সময়কে কাজে লাগিয়ে আজ অনেকদিন পর একটি শক্তিপীঠ পর্বনিয়ে আমি আপনাদের মুখোমুখী|আজ লিখবো বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দির নিয়ে|

সতীর দেহ ছিন্ন হবার পর এই স্থানে তার কিরীটের ডাক এই জায়গায় পড়ে তাই এটা উপ-পীঠ|ডাক হল উজ্জ্বল গহনার অংশ। ডাক থেকেই ঢাকেশ্বরী নামের উৎপত্তি এই ঢাকেশ্বরী থেকেই রাজধানী ঢাকার নামকরণ|

মন্দিরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন কথিত রয়েছে, ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন রাজা বল্লাল সেন মন্দিরটি স্থাপন করেছিলেন৷কিংবদন্তি অনুযায়ী, রাজা আদিসুর তার এক রানীকে কোনো কারনে বুড়িগঙ্গার এক জঙ্গলে নির্বাসন দেন জঙ্গলে রানী প্রসব করে পুত্র বল্লাল সেন কে। জঙ্গলেই বেড়ে ওঠে বল্লাল সেন। শৈশবে জঙ্গলের মধ্যে বল্লাল সেন একটি দেবী মূর্তি পান বল্লাল সেন বিশ্বাস করতে শুরু করে জঙ্গলে সকল বিপদ-আপদ থেকে এই দেবী দুর্গাই তাকে রক্ষা করছে। পরে বল্লাল সেন রাজ ক্ষমতায় অসিন হলে তার জন্মস্থানে যেখানে দেবীর মূর্তি পেয়েছিলেন সেখানে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

নাম করনের অন্য একটি ব্যাখ্যা অনুসারে রাজা মূর্তিটি জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় পেয়েছিলেন যায় বলে দেবীর নাম হয় ঢাকাঈশ্বরী বা ঢাকেশ্বরী মন্দিরটিও ঢাকেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিতি পায়।

মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার গোলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ পরে বাংলাদেশ সরকার সংস্কার করে ফের ফিরিয়ে আনেন মন্দিরের হারানো সৌন্দর্য|বর্তমানে এই মন্দির বাংলাদেশের জাতীয় সম্পত্তি৷ কথিত আছে দেবী স্বয়ং মহানগর ঢাকার রক্ষাকত্রী৷ তাই তিনি ঢাকার ঈশ্বরী অর্থাৎ ঢাকেশ্বরী|

আজ এই শক্তিপীঠের কথা এখানেই শেষ করছি,স্বাস্থ সংক্রান্ত সকল বিধি নিষেধ মেনে চলুন|আমার কাছে জ্যোতিষ পরামর্শ নিতে বাইরে বেরোতে হবেনা, প্রয়োজনে ফোন করে নেবেন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন|ধন্যবাদ|