নব রাত্রি – দেবী সিদ্ধিদাত্রী
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
নব রাত্রি উপলক্ষে শুরু করা বিশেষ ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আপনাদের স্বাগত।নবদুর্গার নবম তথা শেষ রূপ হল সিদ্ধিদাত্রী।
আজকের পর্বে দেবীর এই বিশেষ রূপটি
নিয়ে লিখবো।
দেবী সিদ্ধিদাত্রী সিংহবাহিনী দেবীর চার হাতে আশীর্বাদ মুদ্রা। তিনি সিদ্ধি দান করেন। তিনি সবাইকে বরাভয় দেন।সিদ্ধি দাত্রী রূপে দেবী
স্নিগ্ধ এবং শান্ত।
দেবী সিদ্ধি দান করেন তাই তিনি সিদ্ধিদাত্রী |
দেবী ভগবত্ পুরাণে আছে, স্বয়ং মহাদেব দেবী পার্বতী কে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন|এবং তার ফলে মহাদেব সকল সিদ্ধি লাভ করেন|
যদিও বিভিন্ন পুরাণে দেবীর ভিন্ন রূপ বর্ণিত, কোথাও তিনি অষ্টভুজা, তো কোথাও তিনি অষ্টাদশভুজা আবার কোথাও দেবী ‘সিদ্ধিদাত্রী’ চতুর্ভুজা রূপেও পূজিত।দেবীর চতুর্ভুজা রূপটি শাস্ত্র সম্মত ভাবে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং সর্বত্র পূজিতা।
দেবীর উপাসনায় সংসারে আসে সুখ এবং সমৃদ্ধি এবং সকল সিদ্ধি লাভ হয়| যারা কর্ম ক্ষেত্রে উন্নতি চায় শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্যা থেকে মুক্তি চায় এবং প্রকৃত জ্ঞান লাভ করতে চায় তারা দেবীর এই রূপের আরাধনা করতে পারেন|
দেবী সিদ্ধিদাত্রীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য,নব রাত্রিতে দেবীর উদ্দেশ্যে গন্ধম, পুষ্পম, দীপম, সুগন্ধম এবং ভোগ নিবেদন করে পঞ্চোপচার পূজা করতে পারেন।তাছাড়া সিঁদুর, মেহেন্দি, কাজল নিবেদন করতে পারেনা তাতে আপনাদের বিবাহিত জীবনে সুখের হবে দেবীর আশীর্বাদে|
পদ্মাসনে বসা দেবীকে তিলের তৈরি নাড়ু বা খাবার ভোগ হিসেবে দেওয়ার চল রয়েছে। মনে করা হয়, তাতে ভক্তের শারীরিক ও মানসিক পীড়া দুর হয়|পরিবারের ও কল্যান হয়|
আসন্ন লক্ষী পুজো এবং কালী পুজো উপলক্ষে নানা শাস্ত্রীয় এবং পৌরাণিক বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা চলতে থাকবে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।