কালী কথা – কঙ্কালেশ্বরী কালী

50

কালী কথা – কঙ্কালেশ্বরী কালী

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

বর্ধমানের অন্যতম এক জাগ্রত এবং ঐতিহাসিক মাতৃ মন্দির হলো কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির। এই প্রাচীন কালী মন্দির নিয়ে রয়েছে একাধিক কিংবদন্তী এবং অলৌকিক ঘটনা যা নিয়ে আজকের কালী কথায় লিখবো।

আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে বর্ধমানে থাকতেন কমলানন্দ নামে এক মাতৃসাধক।
তন্ত্র বিশারদ হিসেবে তার বেশ খ্যাতি ছিলো। শোনা যায় তিনি একবার মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নে আদেশ হয় যে দামোদর নদে শীল রূপে দেবী কালী অবস্থান করছেন এবং তিনি যেনো ওই মাতৃ মূর্তি উদ্ধার করে আনেন এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা করে সেই মূর্তি স্থাপন করে পুজো শুরু করেন।

স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী তিনি দামোদরের তীরে গিয়ে ঘোর কৃষ্ণ বর্ণের সেই পাথরটি উদ্ধার করেন। সেই পাথরে দেবী মূর্তি খোদাই করা ছিলো।
পাথরের এই দেবী মূর্তি পেয়ে তিনি বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজ বিজয়চাঁদ মহাতাবকে খবর দেন।তারপর রাজার উদ্যোগে সেই মূর্তি মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

সেই কৃষ্ণ বর্ণের পাথরে খোদাই দেবী কঙ্কালের মতো দেখতে। নাম তাই কঙ্কালেশ্বরী কালী। দেবী এখানে অষ্টভূজা। শায়িত শিবের নাভি থেকে উৎপত্তি হয়েছে পদ্মের। সেই পদ্মার ওপর দেবী বিরাজমানা।দেবী মূর্তির সাথে একটি হাতিও লক্ষ্য করা যায়।সব থেকে আশ্চর্য জনক বিষয় পাথরের কালী মূর্তিতে মানব শরীরের সব শিরা উপশিরা এবং প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিখুঁত ভাবে
খোদাই করা আছে।

বিশেষ বিশেষ অমাবস্যা তিথি এবং
প্রতি কালীপুজোয় এখানে অসংখ্য
ভক্তের সমাগম হয়। সেই সময়ে এখানে
প্রায় কুড়ি হাজার ভক্ত অন্নভোগ গ্রহণ করেন। চামুণ্ডা মতে পুজো হয় এখানে।
তবে শুরু থেকেই বলি প্রথা নেই।

আবার কালী কথার পরবর্তী পর্বে ফিরে আসবো অন্য এক প্রাচীন কালী মন্দিরের ইতিহাস।
থাকবে নানা অলৌকিক ঘটনা। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।