শিব মাহাত্ম – বঙ্গেশ্বর মহাদেব
পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক
বাংলায় যে সমস্ত শৈবক্ষেত্রগুলি রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ হাওড়ার বঙ্গেশ্বর শিব মন্দির। বয়সে খুব বেশি প্রাচীন না হলেও এই শিব মন্দিরে মাহাত্ম কিছু কম নয় ।তার কয়েকটি কারন আছে। আজকের পর্বে সেই দিকগুলি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখবো।
এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল ভোলেনাথের একান্ন ফুট উঁচু মূর্তি।এতো বিশাল এবং এতো উঁচু শিব মন্দির বাংলায় খুব কমই চোখে পড়ে।রাষ্ট্রপতি থাকা কালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় একান্ন
ফুট উঁচু এই শিব মূর্তি উন্মোচন করেন।
দ্বিতীয় বিশেষত্ব হলো বঙ্গেশ্বর মহাদেব মন্দির প্রাঙ্গণে বারো টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে।যারা সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে পারেন না তারা এই বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির এই স্থানে একত্রে দর্শন করে পুন্য লাভ করে থাকেন।
এই মন্দিরে মহাদেবের জলাভিষেকের আলাদা মাহাত্ম আছে।শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের ঢল নামে এই মন্দিরে। সোমবারে তো অবশ্যই এছাড়াও প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসেন কাতারে কাতারে ভক্ত। তাঁরা জল ঢালেন বাবার মাথায়। চলে বিশেষ পুজোপাঠ। ভগবান মহাদেবকে মনের প্রার্থনা জানান ভক্তরা।
প্রত্যকের একটাই আশা জলাভিষেকের মাধ্যমে বাবা মহাদেবকে তুষ্ট করা ও তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া।
এই বঙ্গেশ্বর মহাদেব অতি দয়ালু এবং
ভক্তবৎসল। তিনি অল্পেই তুষ্ট হন এবং তার সব
ভক্তের মনোস্কামনা পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস।
আগামী পর্বে আবার অন্য এক শিব
মন্দিরে ইতিহাস এবং তার মাহাত্ম নিয়ে
ফিরে আসবো। পড়তে থাকুন।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।