গুরু কথা – শ্রী প্রেমানন্দ মহারাজ

117

গুরু কথা – শ্রী প্রেমানন্দ মহারাজ

 

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

 

এই মুহূর্তে যে কয়জন প্রকৃত সাধু ভারতের পুন্য ভূমিতে সশরীরে বিরাজ করছেন এবং আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে অসংখ্য মানুষকে প্রতিদিন আধ্যাত্মিক মার্গে চলার পথ দেখাচ্ছেন বৃন্দাবনের প্রেমানন্দ বাবা তাদের মধ্যে অন্যতম।আজকের গুরু কথায় এই মহান গুরুর কথা লিখবো।

 

প্রেমানন্দ জী রাধারানীর ভক্ত এবং রাধাবল্লভ সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী। যদিও বিহারের এক কৃষক পরিবারে জন্মানো অনিরুদ্ধ পান্ডে শুরু থেকে ছিলেন শিব ভক্ত।ছোটবেলায়, তিনি ঘন্টার পর ঘন্টা ধ্যান এবং প্রার্থনায় মগ্ন থাকতেন , প্রায়শই ভক্তিমূলক স্তোত্রের সুরে নিজেকে হারিয়ে ফেলতেন।কৈশোরে গৃহ ত্যাগ করে তিনি পথে ঘুরে বেড়াতেন এবং আশ্রয় নিতেন শিব মন্দিরে। দীর্ঘ দিন তিনি কাশীর বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে অভুক্ত অবস্থায় অসুস্থ্য শরীরে কাটিয়েছেন তার পর একদিন নিছক রাস উৎসব দেখতে যান বৃন্দাবনে এখানেই ঘটে যায় তার জীবনের সব থেকে বর পরিবর্তন। তিনি নিজের জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পান। নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পিত করেন রাধা রানীর চরণে হয়ে ওঠেন পরম পূজনীয় প্রেমানন্দ মহারাজ।

 

বর্তমানে শ্রী প্রেমানন্দ জি মহারাজ রাধাজীর সেবায় এবং ঐশ্বরিক প্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা প্রার্থনা এবং ধ্যানে কাটান।রাধাজির ঐশ্বরিক উপস্থিতিতে নিজেকে নিমজ্জিত করে রেখেছেন।

 

শ্রী প্রেমানন্দ জি মহারাজ বিশ্বাস করেন যে ভক্তির পথ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি শিখিয়েছেন যে ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসা সর্বজনীন এবং জীবনের সকল স্তরের ব্যক্তিরা এটি অনুভব করতে পারে। তাই আজ তার অনগিত ভক্ত ভর রাত থেকে তার দর্শন পাওয়ার জন্য এবং তার বাণী শোনার জন্য প্রতীক্ষা করেন।

বহু বিখ্যাত মানুষ তার দর্শন পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন।

 

তার গোটা জীবনটাই অলৌকিক এবং

বিস্ময়কর কারন যার আজ থেকে কয়েক দশক আগে না ছিলো আশ্রয় না কোনো অন্নসংস্থান তিনিই আজ বহু মানুষের একমাত্র আশ্রয়। অনেকে বলেন তিনি ভগবত প্রাপ্ত সিদ্ধ পুরুষ তা নাকলে কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে এতো অসুস্থ শরীর নিয়ে এতো জপ তপ এবং সাধনা অসম্ভব। আমি নিজে কয়েক মাস আগে বৃন্দাবনে তার দিব্য দর্শন পেয়ে ধন্য হয়েছি।

 

আবার গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে এমন কোনো আধ্যাত্মিক গুরুর জীবন এবং সাধনার কথা নিয়ে ফিরে আসবো আগামী পর্বে। পড়তে থাকুন।

ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।