দেবী মাহাত্ম – মৃত্যু নাশিনী

302

পন্ডিতজি ভৃগুশ্রী জাতক

বাংলার মাতৃ সাধক রা যেমন জগৎ প্রসিদ্ধ তেমনই বহু মাতৃ সাধিকার ও অবির্ভাব হয়েছে এই পুন্য ভূমিতে। তাদের সাধন স্থল বা কালী মন্দির আজও আছে।আগের পর্বে যেমন এমনই এক তন্ত্র সাধিকার কথা বলেছি আজও এক অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্না সন্ন্যাসীনীর কথা লিখবো
যার প্রতিষ্ঠিত দেবী কালীকে মৃত্যু নাশিনী বলা হয়।

নদিয়ার কল্যাণীর কাছে রয়েছে এই মৃত্যুনাশিনী কালীর মন্দির। পুরোনো মন্দিরটি সংস্কার হয় ১৯৫০ সালে যদিও আসল প্রাচীন মন্দিরটি কবে কোন সময়ে তৈরী হয় তার কোনো নিদ্দিষ্ট তথ্য প্রমান পাওয়া যায়না।

বহুকাল আগে এখানে এসে সাধনা শুরু করেন এক সিদ্ধযোগিনী তিনি এলাকায় পরিচিত ছিলেন সাধিকা মা নামে। তার সঠিক পরিচয় শুনিদ্দিষ্টি ভাবে বলা না গেলেও জনশ্রুতি আছে যে তাঁর বিয়ে হয়েছিল রাজপরিবারে। তাঁর স্বামী ছিলেন এক রাজকুমার।বিয়ের পরদিনই ঘর ছেড়ে ব্রহ্মচারী হয়ে যান তার স্বামী পরবর্তীতে ঈশ্বর আরাধনায় স্বামীর আগ্রহ দেখে তার নববধূও ঘর ছাড়েন । সেই সময় ভাগীরথী এই অঞ্চলের পাশ দিয়ে বয়ে যেত। সেই ভাগীরথীর পাড়ে এসে বসেছিলেন ওই বধূ। সেই সময় ঘটে এক অলৌকিক ঘটনা তিনি একটি দেবীর ঘট গঙ্গায় ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান।সেই সঙ্গে তিনি দেবীর কালীর আদেশ পান। আদেশ অনুসারে তিনি এক বটগাছের নীচে ঘটটি রেখে খোলা আকাশের নীচে সাধনা শুরু করেন। এরপর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং স্বপ্নাদেশে দেবীর বর্ণনা পেয়ে, সেই বর্ণনা অনুযায়ী মূর্তি তৈরি করে দেবীর পুজো শুরু করেন।সেই সাধন ক্ষেত্রই বর্তমানে দেবী মৃত্যুনাশিনীর মন্দির রূপে
গড়ে উঠছে।

শোনা যায় দেবী কাউকে নিরাশ করেন না। তার কৃপায় দূর হয় মৃত্যু ভয়। সব রোগ ভোগ যন্ত্রনা তিনি নাশ করেন বা। তিনি প্রকৃত অর্থেই তাই মৃত্যু নাশিনী।দেবীর মূর্তি প্রতিবছরই অঙ্গরাগ করা হয়। কিন্তু, মূর্তিতে কোনও ক্ষত দেখা দিলে, তা পরিবর্তন করার বিধান আছে।দেবীমূর্তির পাশেই রয়েছে তাঁর ভৈরব কপালভৈরব।

আসন্ন আষাড় অমাবস্যা ও অম্বুবাচি উপলক্ষে
চলতে থাকবে দেবী মাহাত্ম নিয়ে আলোচনা। বহু এমন রহস্য ময় সাধক সাধিকা ও মন্দিরের কথা আপনাদের জানাবো। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন।
ধন্যবাদ।