দেবী মাহাত্মা- সেবকেস্বরী

219

দার্জিলিং বেড়াতে গেলে অনেকেই একবার সেবক কালীবাড়ি ঘুরে আসেন। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীস সড়কের ধারে কালী মন্দির।সেবকেশ্বরী নামে খ্যাত এই কালী মন্দির নিয়ে আজকের পর্ব।সেবকেশ্বরী মন্দিরে দেবী দর্শনের জন্য অন্তত ১০৭টি সিঁড়ি পেরতে হয়। খাড়া পাহাড়ের গা বেয়ে তৈরি হয়েছে এই সিঁড়ি। অদ্ভূত নির্জন পরিবেশ।দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এই মন্দির এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করে।বিশেষ অমাবস্যা তিথি গুলিতে শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা থেকেই নয়, বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা দেবী দর্শনের জন্য আসেন। রাতভর চলে দেবীর আরাধনা। এরপর সকাল থেকে শুরু হয় খিচুড়ি ভোগ নিবেদন। অন্তত দেড়শো কড়াই খিচুড়ি হয় কালীপুজোর রাতে।কালীপুজোর দিনগুলোতে এই সেবকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। পাহাড়ের নির্জনতায় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। দেবীর কাছে অন্তর থেকে প্রার্থনা করলে ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করেন তিনি।সেবক পাহাড়ের উপর হয় দেবীর আরাধনা তাই দেবীর নাম সেবকেশ্বরী।মন্দিরের সামনে পঞ্চমুন্ডির আসন রয়েছে। সেটা স্বপ্নাদেশে পাওয়া। পুজোয় সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি মাকে নিবেদন করা হয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বোয়াল মাছ দেবীর ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয়।। রাতভর চলে দেবীর আরাধনা। এরপর সকাল থেকে শুরু হয় খিচুড়ি ভোগ নিবেদন। অন্তত দেড়শো কড়াই খিচুড়ি হয় কালীপুজোর রাতে।শুধু শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা থেকেই নয়, বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা দেবী দর্শনে। আগামী পর্বে আবার ফিরে আসবো দেবি মাহাত্ম নিয়ে। পড়তে থাকুন।ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।