মন্দির রহস্য – সংকট মোচন মন্দিরের রহস্য

223

তুলসী দাস হনুমান চালিশা লিখেছিলেন তা আপনারা জানেনা, অনেকে এটাও জানেন তিনি হনুমান চালিশা লেখার আগে স্বয়ং হনুমানজীর দর্শন পেয়ে ছিলেন|আজ আপনাদের সেই মন্দিরের কথা জানাবো যেখানে বজরংবলী ও তুলসীদাসের সাক্ষাৎ হয়েছিলো|ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারাণসী শহরে অসী নদীর তীরে কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির অবস্থিত।কথিত আছে, এই মন্দিরটি যেখানে নির্মিত হয় সেখানেই তুলসীদাস হনুমানের দর্শন পেয়েছিলেন।বাল্মীকি-রামায়ণের অবধি-সংস্করণ রামচরিতমানস গ্রন্থের রচয়িতা তুলসীদাস এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দিরের বর্তমান স্থাপত্যটি শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যের দ্বারা নির্মিত।হনুমান জয়ন্তী এই মন্দিরের প্রধান উৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে দুর্গামন্দিরের নিকটবর্তী দুর্গাকুণ্ড থেকে হনুমান মন্দির পর্যন্ত এক বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়।প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, এই মন্দির যাঁরা নিয়মিত দর্শন করেন, তারা হনুমানের আশীর্বাদ পান। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার ভক্তেরা এই মন্দিরে হনুমানের বিশেষ পূজা দিয়ে থাকেন। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, হনুমান দুষ্টগ্রহ শনিকে দমন করেন। তাই অনেক গ্রহরাজ শনিদেবের অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচাতে এই মন্দিরে পূজা দেন।আপনাদের হয়তো মনে আছে ২০০৬ সালের অভিশপ্ত এক দিনে আরতি চলাকালীন তিনটি বোমা বিস্ফোরণ হয় এই মন্দির চত্বরে।এই সময় মন্দিরে অসংখ্য দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন|বজরংবলীর কৃপায় রক্ষা পায় মন্দির ও ভক্তগন পরদিন থেকে আবার মন্দিরের দৈনন্দিন পূজাশুরু হয়|ফিরে আসবো পরের পর্বে নতুন কোনো মন্দিরের রহস্য নিয়ে|অনেক রহস্য ময় ঘটনা ও তার শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|অনলাইন এবং চেম্বারে এসে ভাগ্য বিচারের জন্য যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ধন্যবাদ |