মন্দির রহস্য – ভূত নাথ মন্দিরের রহস্য

228

উত্তরা খন্ডের ঋষিকেশে অবস্থিত একটি বহু প্রাচীন শিব মন্দিরে নিয়ে আজকের পর্বে লিখবো| শিব এখানে ভুতেশ্বর মহাদেব নামে প্রসিদ্ধ এবং মন্দিরটি ভূতনাথ মন্দির নামেই জগৎ বিখ্যাত|এই মন্দির ঘিরে রয়েছে একটি রহস্য ও পৌরাণিক আখ্যান|পুরান অনুসারে দক্ষ কন্যা পার্বতীকে বিবাহের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া শিবের বরযাত্রী এই স্থানে এসেছিলো, এবং যাত্রা পথে এই নিদ্দিষ্ট স্থানে তারা অপেক্ষা করে ছিলো কিছুক্ষন, এটি তাদের বিশ্রামের স্থান|পরবর্তীতে স্থানীয় দের অনুরোধে শিব স্বয়ংপ্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি ভুতেশ্বর রূপে এই স্থানে সদা বিরাজমান থাকবেন, তারপর থেকে এই স্থানে সুদৃশ্য আটতল বিশিষ্ট ভূতনাথ মন্দিরে, তিনি বিরাজমান,এমনকি মহাদেবের অশরীরী সঙ্গী সাথীরাও রয়েছে স্বমহিমায়, এমনটাই প্রচলিত বিশ্বাস|জনশ্রুতি আছে এই মন্দিরে এসে ভুতেশ্বর মহাদেবের দর্শন করলে অশুভ শক্তি, ভুত, প্রেত মানুষের আর কোনো ক্ষতি করতে পারেনা, বাবা ভুতেশ্বরের কৃপায় দূর হয় অশুভ শক্তি জনিত সব সমস্যা, তাই এই এই সব সমস্যায় পীড়িত বহু মানুষ প্রায় প্রতিদিন আসেন এই মন্দিরে, ভক্তি সহকারে পূজা দেন|মন্দিরের চার পাশে বেশ একটা গা ছম ছমে অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়. প্রতিদিন সন্ধে ছটায় বন্ধ হয় মন্দির|বেশ রহস্যময় একটি বিষয় রয়েছে এই মন্দির প্রাঙ্গনে, এখানে আছে একটি সুসজ্জিত বেদি যার চারপাশে ঝোলানো রয়েছে দশটি ঘন্টা এবং রহস্য রয়েছে এই খানেও, ওই দশটি ঘন্টা থেকে দশ প্রকার আলাদা আলাদা ধ্বনি উৎপন্ন হয় যার কোনো কারন বা ব্যাখ্যা আজও পাওয়া যায়নি|চলবে মন্দির রহস্য নিয়ে আলোচনা|ফিরে আসবো পরের পর্বে নতুন কোনো মন্দিরের রহস্য নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|