দশ মহাবিদ্যা – দেবী ভৈরবী

1031

দেবীর দশ মহাবিদ্যা ষষ্ঠ রূপ হল দেবী ভৈরবী|দুর্গার আভা মণ্ডলে উপরোক্ত দশ মহাবিদ্যা দশ প্রকার শক্তির প্রতীক। সৃষ্টির ক্রমে চার যুগেই এই দশ মহাবিদ্যা বিরাজমান ছিল। এর সাধনা মাত্রই ফলদায়ক এবং সাধকের সমস্ত কামনা পুরো হয়দশমহাবিদ্যার ষষ্ঠ রূপ দেবী ভৈরবী। ইনি চতুর্ভুজা, হাতে অক্ষমালা। দেবী অস্ত্রহীন। এই দেবী বিদ্যা ও ধনদাত্রী। চৌষট্টি যোগিনীদের মধ্যে প্রধানের নাম ভৈরবী। ইনি শিবের ন্যায় স্ত্রী মূর্তি, ইনি সঙ্গীতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নামে পরিচিত।ত্রিগুণাত্মক শক্তিরুপী ন’দুর্গার আর একটি বিশেষত্ব আছে, যা তাঁর আধ্যাত্মিক স্বরূপে দশ মহাবিদ্যা রূপে বিরাজমান। ব্রহ্মার পুত্র দত্তত্রেয় তন্ত্র শাস্ত্রের গ্রন্থ রচনা করে মহিষাসুরমর্দিনী এবং সিদ্ধিদাত্রী দেবী ভগবতীর মধ্যে সমাহিত ওই দশ মহাবিদ্যার উল্লেখ করেন। মার্কণ্ডেয় পুরাণে দশ মহাবিদ্যার এবং তার মন্ত্রের বিস্তারিত বর্ণনা আছে|ভৈরবী সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে তিনি ভয়ঙ্করী দেবী। কামনা ও প্রলোভনের স্বরূপ যা মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়।জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে ভৈরবী সময় ও লগ্নের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়েছেন|শাস্ত্র মতে কৌশিকী অমাবস্যা অন্য সমস্ত অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। কারণ তন্ত্রমতে ভাদ্র মাসের এই তিথিটি একটু বিশেষ কারণ অনেক কঠিন ও গুহ্য সাধনায় এই দিনে আশাতীত ফল মেলে|দশ মহাবিদ্যার অন্যতম দেবী তারা মর্তধামে আবির্ভূত হন এই তিথিতে তাই এই রাত কে তারারাত্রি ও বলে|তারাপিঠে এই তিথিতেই সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেন বামা ক্ষ্যাপা|গ্রহ দোষ খন্ডনে এই তিথি শ্রেষ্ট তিথি|ফিরে আসবো দশ মহাবিদ্যা, তন্ত্র এবং কৌশিকী অমাবস্যা নিয়ে আরো অনেক আলোচনা নিয়ে|পড়তে থাকুন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|