মন্দির রহস্য – ঘুমন্ত শিব

400

আজ চৈত্র মাসের শেষ সোমবার , গঙ্গার পবিত্র ঘাট গুলিতে চলছে পবিত্র স্নান , দেবাদিদেব মহাদেবকে ডাকার তার কৃপা লাভ করার এটাইতো শ্রেষ্ঠ সময়|আজ পুন্য তিথীতে, মন্দির রহস্য পর্বে আলোচনা করবো একটি অদ্ভুত শিব মন্দির নিয়ে যেখানে কয়েকশো বছর ধরে ঘুমিয়ে রয়েছেন মহাদেব|

বর্ধমানের ইটাচুনা রাজবাড়িতে অধিষ্ঠিত শিব ঠাকুরকে নিয়ে আছে এক রহস্য, শিব মূর্তি আছে, অর্থবল, লোকবল সবই আছে, তবু গত দেশড় বড়র ধরে ঘুমিয়ে শিব ঠাকুর, মন্দিরে তাঁর পুজি হয় না। কিন্তু কেনো?

প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে , ১৮৭১ সালে তদানিন্তন ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে গিরিডি অঞ্চলে রেল লাইন বসাবার কন্ট্রাক্ট পান পরিবারের কর্তা বিজয় নারায়ণ কুণ্ডু। সেখানে কাজ করতে গিয়ে গিরিডির জঙ্গলে এক অদ্ভূত শিব মূর্তির খোঁজ পান তিনি। মূর্তিটির প্রচলিত শিব মূর্তির মত নয়, অভিনব, ঠিক যেন দাওয়ায় বসে আছেন দেবাদিদেব মহাদেব।মূর্তিটি এনে তিনি স্থাপন করেন নিজ গৃহে|

পুজো শুরু হয়, এরপরই ঘটে কিছু অলৌকিক ঘটনা, শিব মূর্তি স্থাপনের পরই মারা যান পরিবারের এক সদস্য।তারপর ক্রমাগত বাধা আসতে থাকে বিভিন্ন কাজে। এইভাবে বন্ধ হয়ে যায় শিবপুজো।

কেনো এমনটা হয়েছিলো তা নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে|অনেকেই মনে করেন শাস্ত্র মতে মা দূর্গা বা মা কালি ছাড়া শিব মূর্তির পুজো হয় না। আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, যদিও বা হয় তবে শুধু শিব লিঙ্গের পুজো হতে পারে, একা শিব মূর্তির পুজো হয় না, তাতে মঙ্গলের পরিবর্ধে নেমে আসে ঘোর অমঙ্গল এবং টাই হয়েছিলো এই পরিবারে|

আজ সবাই ভক্তি ভরে মহাদেব কে ডাকুন , তিনি তুষ্ট হলে আপনারা মনোস্কামনা নিশ্চই পূরণ হবে|যারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্যোতিষ পরামর্শ বা প্রতিকার নেয়ার কথা ভাবছেন যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|