বাংলার বেশ কয়েকটি প্রাচীন শিবমন্দির নিয়ে ইতিমধ্যে লিখেছি এই ধারাবাহিক লেখনীতে, সেই পরম্পরা আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যাবো আজকের পর্বে, আজ উত্তর বঙ্গের আলিপুরদুয়ারে অবস্থিত জটেশ্বর শিব মন্দির|
এই শিব মন্দিরের বয়স আনুমানিক প্রায় দুশো বছর, এই দীর্ঘ সময়ে একাধিকবার মন্দিরের সংস্কার হয়েছে তবে জটেশ্বর শিব কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল ও ভক্তি রয়েছে একই রকম, অনেক রহস্যময় ঘটনা ও অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে এই মন্দির নিয়ে, মন্দিরের স্থাপনা নিয়েও রয়েছে একটি জনশ্রুতি|
শোনা যায়, একবার মন্দির সংলগ্ন কাঠালবাড়ি গ্রামের গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করেন জঙ্গলের ভিতর একটি দুগ্ধবতী গাভীর বাঁট থেকে অনবরত দুধ পড়ে যাচ্ছে, কৌতুহলী গ্রামবাসী খানিকটা এগিয়ে গিয়ে এক অলৌকিক দৃশ্য দেখলেন , তারা সামনে গিয়ে দেখতে পান মাটি ভেদ করে একটি পাথর উঠে আছে, এবং সেই পাথরেই গাভীর দুধ অনবরত পড়ে চলেছে|লোক মুখে এই অলৌকিক ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো সর্বত্র|
পরবর্তীতে জমিদারের আদেশে লোক জন গিয়ে শিব লিঙ্গ টি বহন করে জমিদার বাড়িতে আনার সময় পথে এক স্থানে তা নামিয়ে রাখলেন বিশ্রামের জন্যে, অলৌকিক ভাবে পরে সেই স্থান থেকে শিব লিঙ্গকে ওঠানো আর সম্ভব হয়নি, এমনকি জমিদারের হাতিও ওই স্থান থেকে শিব লিঙ্গ এক চুল নাড়াতে পারেনি, ঐখানেই ছোট মন্দির বানিয়ে পুজো শুরু হয়|এর পর দীর্ঘ সময় কেটে যায়|
একদিন হঠাত্ করে এক উলঙ্গ সাধুর আবির্ভাব ঘটলো, ওই স্থানে তাকে সবাই ‘ কাথেয়া বাবা’ বলে ডাকতো, উনি দীর্ঘদিন পুজো দিয়েছিলন তারপর একদিন তিনিও কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে গেলেন|এরপর একদিন মিথিলা থেকে এক পুরোহিত এলেন, তিনি এসে স্থানীয়দের জানালেন তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন এখানে আসার জন্য এবং এই স্থানে তিনি এসে দেখেন স্বপ্নে যা যা দেখেছেন সব একশো শতাংশ সত্যি, তিনি লোকেদের সাথে কথা বলে নিয়মিত পুজোর ব্যাবস্থা করেন তৈরি হয় মন্দির|জটেশ্বর মহাদেব নামে এখানে পূজিত হন শিব|
আবার পরের পর্বে লিখবো অন্য কোনো প্রাচীন শিব মন্দিরের কথা, পড়তে থাকুন আর জ্যোতিষ সংক্রান্ত কাজে আমাকে প্রয়োজন বোধ করলে নির্দ্বিধায় ফোন করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে অনলাইন ও চেম্বারে আমাকে পাবেন প্রত্যেক দিন|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|