বিশেষ বিশেষ অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথীর ন্যায় বছরের প্রায় প্রতিটি শিব রাত্রি জ্যোতিষ শাস্ত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, বহু কঠিন কাজ সম্পন্ন শাস্ত্র মতে সম্পন্ন হয় শিব রাত্রির এই মহা যোগে, আপনারাও চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই বিশেষ সময়ে বিশেষ কার্যসিদ্ধির জন্যে, আজ আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করি লেখা, আজ নব কৈলাশ বা একশ আট শিব মন্দির|
সারা ভারতে ১০৮ শিবমন্দির মাত্র দু’টি জায়গায় আছে। এবং এই দু’টি জায়গাই বাংলায়, পূর্ব বর্ধমানে। প্রথমটি বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে নবাবহাটে এবং দ্বিতীয়টি কালনাতে|
সারা দেশে ১০৮ শিবমন্দির রূপে প্রচারিত হলেও কালনার এই মন্দিরের প্রকৃত নাম ‘নবকৈলাস মন্দির’,বর্ধমানরাজ তেজচন্দ্র ১৮০৯ সালে কালনার এই মন্দিরটি নির্মাণ করান যেখানে সাদা ও কালো শিব লিঙ্গের বৈচিত্রপূর্ণ সমাহার লক্ষ্য করা যায়, মনে করা হয় সাদা রং ত্যাগের প্রতীক এবং কালো ভোগের প্রতীক|
কালনা রাজবাড়ি চত্বরের দক্ষিণ দিকে এই ১০৮ শিবমন্দির দু’টি বৃত্তকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
মোট ৭১টি সাদা ও ৩৭টি কালো শিবলিঙ্গ নিয়ে এই মন্দির অবস্থান করছে, ভিতরের বৃত্তের মাঝখানে রয়েছে একটি বিরাট কূপ, অনেকেই মনে করেন মন্দিরের পুজোর কাজে জলের চাহিদা মেটানোর জন্যই এই কূপ খনন করা হয়, আবার অন্য মতে এই বৃহৎ কূপটি শূন্য তথা নিরাকার ব্রহ্মস্বরূপ পরম শিবের প্রতীক|
দেশ বিদেশের বহু তীর্থযাত্রী প্রায় সারা বছরই আসেন এই অপূর্ব শিব মন্দির দর্শন করতে, আসন্ন মহা শিব রাত্রি উপলক্ষে এখানে ভিড় ও হবে মানুষের, আপনারাও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন|লেখা চলবে, আগামী পর্বে অন্য কোনো শিব মন্দির, জ্যোতিষ পরামর্শ ও প্রতিকারের জন্যে যোগাযোগ করুন উল্লেখিত নাম্বারে|ভালো থাকুন|ধন্যবাদ|