মৌনী অমাবস্যা, রটন্তী কালী পূজা, সব মিলিয়ে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি, জ্যোতিষ এবং তন্ত্র জগতে এই সময়ের তাৎপর্য অপরিসীম তাই এই বিশেষ সময়ে আমার আধ্যাত্মিক লেখালেখিও কালী এবং তার মহাত্ম কে কেন্দ্র করেই চলছে, আজ এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লিখবো একটি অদ্ভুত কালী মন্দিরের কথা, মুর্শিদাবাদের লাল গোলার প্রসিদ্ধ শিকলে বাঁধা কালী বা শৃঙ্খলিত কালী|
মুর্শিদাবাদের লালগোলার শ্রীমন্তপুরের এই কালী মন্দির এখন সর্বত্র জনপ্রিয়, সালটা 1790, স্বপ্নাদেশে তৎকালীন লালগোলার রাজা রামশঙ্কর রায় নির্দেশ পান,এই রাজ পরিবারের দ্বারা অধিষ্ঠিত হয়েই কালীমন্দির পূজিত হবেন দেবী। সেইমতো এই কালীমন্দিরের পিছন দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার শাখা নদীতে হটাৎই একটি দেবীর কাঠামো ভাসতে দেখা যায়। পরে এতেই মাটি লাগিয়ে দেবীর প্রায় ৪ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরি করা হয়।
অদ্ভুত ভাবে এই মন্দিরে লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা আছেন মা। যেই কারণে ‘শৃঙ্খলিতা কালী’ নামে ডাকা হয় দেবীকে কিন্তু কেনো এই শৃঙ্খল? তার পেছনেও রয়েছে কয়েকটি অদ্ভুত জনশ্রুতি|
শোনা যায় পদ্মা থেকেই স্বপ্নাদেশে ভেসে আসা দেবী আবার সেই পথ ধরেই পদ্মাতেই ফিরে যেতে চেয়েছিলেন ,আর তার ফিরে যাওয়া আটকাতে এই শেকলের ব্যবহার|
তবে মা কালীর এই শৃঙ্খলিত রূপ বাংলার আরো এক স্থানে দেখা যায়, বাঁকুড়ার সোনামুখির ধর্মতলার রায় পরিবারের খেপা কালী মন্দিরেও মা কালী কে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে বহু কাল ধরে|
কথিত আছে মন্দিরে কালী প্রতিমা নাকি মন্দির থেকে পালিয়ে যান। আগেরকার দিনে অনেক সময় দেখা গেছে রাতে পুজো শেষে মন্দিরে আর মূর্তির দেখা মেলেনি। অনেকবার রাতে পায়ের নুপুরের শব্দও শোনা গেছে। পরে মন্দিরে ‘খেপা কালী’কে আটকে রাখতে প্রতিমার পায়ের শিকল বাঁধার ব্যবস্থা করা হয় এবং এই প্রথা এখানে আজও বজায় আছে|
কতইনা না রহস্য, দেবী কে ঘিরে কতইনা অলৌকিক ঘটনা, আবার লিখবো, অন্য কোনো দেবী মন্দির ও দেবীর মহাত্ম নিয়ে, আজ বিদায় নিলাম, অমাবস্যার পুন্য তিথিকে কাজে লাগিয়ে শাস্ত্র মতে জ্যোতিষ প্রতিকার হোক বা ভাগ্যগণনা, যোগাযোগ করতে পারেন উল্লেখিত নাম্বারে|মা হৃদয়েশ্বরী সর্ব মঙ্গলা মন্দিরে মৌনী অমাবস্যার বিশেষ পুজোতে আপনাদের স্বাগত|ভালো থাকুন ধন্যবাদ|